রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বিদায়ী চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি কমিশন লাভ করেন। কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে–বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত কোর্সে অংশ নেন। একজন অ্যান্টি–সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি নৌবাহিনীতে অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্সে, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ঢাকা থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশ নেন।
তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সব ধরনের জাহাজে কাজ করেন। নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস দুরন্ত, বিএনএস অনির্বাণ, বিএনএস তমজিদ ও বিএনএস বারকাতকে কমান্ড করেন তিনি। নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমন সদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দফতরের স্টাফ অফিসার, পরিচালক, জুনিয়র স্টাফ কোর্স, ওয়ারফেয়ার ইনস্ট্রাকটর ইন স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইনস্ট্রাকটর (নৌ), ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। এছাড়া তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিআইটিবি), ডিজিএফআই সদর দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌ সদর দফতরের পরিচালক সাবমেরিন উভয় ক্ষেত্রে কর্নেল জিএস হিসেবে কাজ করেছেন।












