বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে মেট্রোপলিটন চেম্বার সহ-সভাপতির চিঠি

বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আহ্বান

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ at ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি লিখেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী। গতকাল লিখা এক চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে বিনিয়োগ একটি আশীর্বাদ। বর্তমান ৩২ লাখ টিউজ কন্টেনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা দেখানো, যা আধুনিক ক্রেন ইত্যাদি স্বয়ংসম্পূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তে, বন্দরের পাশে বেটার্মিনালসহ মীরসরাই ইপিজেড পর্যন্ত আরও ১০টি টার্মিনাল বন্দর হলে জনগণ প্রতিযোগিতামূলক দরে সেবা প্রাপ্তি হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর, দেশের রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, পাবলিক হেলথ, বিমান ইত্যাদি হচ্ছে জনস্বার্থে সরকারের সেবামূলক একক প্রতিষ্ঠান। তাই এই প্রতিষ্ঠান সমূহের আইনে প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকর্তাদের হিসাবে চিহ্নিত করা থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২ এর ৫১ ধারায়ও বলা আছে। দেশের রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, বিমান ইত্যাদির মতো চট্টগ্রামের এই বন্দরও সরকারের একক প্রতিষ্ঠান এবং এগুলো সহনীয় লাভে সরকার পরিচালনা করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ ইচ্ছামতো ৩ গুণ বা ১০ গুণ চার্জ বাড়িয়ে লাভ করলে দেশের জনগণের অন্য কোথাও যাওয়ার তেমন সুযোগ নাই।

উল্লেখ্য, উক্ত আইনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর পরিচালনা করবে, এটার সম্পূর্ণ বক্তব্য দেয়া আছে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ জমিদারী অবস্থানে। তাই বন্দরের সবকিছু ভাড়া দিয়ে শুধু লাভ নিতে চাইলে জনগণের কি হবে বা এই আইনের কি হবে? ইদানিং চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ বা শেড বা জেটি বা বন্দরের বিভিন্ন জায়গা ভাড়া দিয়ে বেশ লাভ আদায়ের কাজে ব্যস্ত হয়েছে। অথচ দেশের জনগণের বন্দরের সকল স্থাপনা তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক চালানোর কারণে বন্দর ব্যবহারকারীরা নানা অসুবিধার সম্মুখীন। বন্দর কর্তৃপক্ষও ভাড়াটিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করছে না। ব্যবসায়ীরা কোনো টেন্ডার দর সুযোগ পায় না। বন্দর উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করায়, ভাড়াটিয়ার পছন্দমতে সব দর নির্ণয় হচ্ছে। ভাড়াটিয়া কর্তৃক অতি লাভের কারণে দেশে আমদানি খরচ বৃদ্ধি হয়ে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র নিহত
পরবর্তী নিবন্ধপুশইন বন্ধে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা