চট্টগ্রাম বন্দর ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিনের অসহনীয় যানজট ও অব্যবস্থাপনার সমাধান ও জনদুর্ভোগ লাঘবে বন্দর–ইপিজেড–পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় প্রতিনিধি দল নগরীর বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকার নানা সংকট, বিশেষ করে চলমান ভয়াবহ যানজট, অবৈধ পার্কিং, সড়কজুড়ে গাড়ির বিশৃঙ্খল চলাচল, পণ্যবাহী গাড়ির জট এবং সড়ক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি তারা এলাকাবাসীর স্বার্থে একটি দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। তারা বলেন, বন্দর জাতীয় সম্পদ, এর চারপাশে যদি যানজটে মানুষের জীবন থেমে থাকে তবে উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে। আমরা চাই, সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে। সর্বস্তরের অংশীদারিত্ব ও প্রশাসনের সদিচ্ছা এই সংকটের সমাধান করতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ধৈর্ষ ধরে প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, সচেতন নাগরিক সমাজের যৌক্তিক দাবিগুলো আমাদের কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে মিল রয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী। আপনারা যদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের সেতুবন্ধন রচনা করেন, তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি আরও আশ্বাস দেন কন্টেনার হ্যান্ডলিং, টার্মিনাল অপারেশন ও সড়ক প্রবেশ–প্রস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নতুন গেট ম্যানেজমেন্ট ও আইটি নির্ভর সিস্টেম চালুর কাজ চলছে। এতে যানজট অনেকটা কমে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্মারকলিপি প্রদান ও মতবিনিময়কালে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাংকার ও সমাজসেবক নিজাম উদ্দিন মামুন, লায়ন প্রাক্তন জেলা গভর্নর মোস্তাক হোসাইন, ব্যবসায়ী ও সংগঠক আলহাজ্ব আমিন সওদাগর, সিএনএফ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রোকন উদ্দিন মাহমুদ খলিল, একতা সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফয়সল, সংগঠক মোহাম্মদ বাহাদুর, সমাজসেবক মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান, সমাজসেবক মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।