নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখন কী ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য ওঠানামা করানো হচ্ছে। এগুলো আমাদের সক্ষমতা। এ সক্ষমতা আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। আমরা দেশ–বিদেশ নয়, বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই। বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়, আমরা তাদের স্বাগত জানাব। এটাই হচ্ছে সরকারের নীতি। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে নতুন ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা কোথায় গেছে আমরা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই। মেরিটাইম বাদ দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব নয়। তাই সরকার মেরিটাইম খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেরিটাইমের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য ব্যাপক জোর দিয়েছেন। একদম ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু। আমাদের সমুদ্র আজকে অবারিত। কোথাও কোনো বাধা নেই। এটা সম্ভব হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার কারণে হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। এটা পদ্মা সেতুর মতো আমাদের গর্ব ও অহংকারের জায়গা আরও বাড়িয়ে দেবে। যেহেতু টানেল চট্টগ্রামে, নদীর এপাড় থেকে ব্যবসা ওপাড়ে চলে যাবে। এর সুফল শুধু বন্দর কেন সমগ্র দেশবাসী ভোগ করবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের সক্ষমতা কোথায় গেছে। আমরা মেরিটাইম সেক্টরে জানিয়ে দিতে চাই আমাদের সক্ষমতা। আমরা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর করছি, পায়রা বন্দর করেছি। মোংলা পোর্ট আপডেটগ্রেশন করছি।
বন্দরে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে অনেক বিনিয়োগ প্রস্তাব আছে। যারা বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান তারা আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা চট্টগ্রামের স্বার্থ, চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ এবং দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তাদের সঙ্গে এ কার্যক্রমে একত্রিত হবো।
ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক। এর আগে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সকালে চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) ২৫তম ও এনএমআই মাদারীপুরের ১৪তম ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বন্দরে ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিম্যুলেটর উদ্বোধন করেন এবং বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধন করা ইক্যুইপমেন্টের তালিকায় রয়েছে– ২০২২ সালে সংগ্রহ করা ২৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ৬টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ২টি কন্টেনার মোভার। ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার ৪টি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ৪টি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, ২০২১ সালে সংগ্রহ করা ২০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন, ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৫০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন।