চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএর নেতারা। গতকাল বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ নেতারা সাক্ষাতকালে বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর প্রমুখ।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সচেষ্ট রয়েছে। বন্দরকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করা এবং বন্দরের সামর্থ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিজিএমইএর প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য আমদানি–রপ্তানিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ (৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ) আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বন্দর সেবার ওপর আরোপিত বিভিন্ন চার্জ ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানান।
এছাড়া পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত এলসিএল পণ্য খালাস দ্রুততরকরণ, টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেমের এক্সেস দেওয়ার মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীদের একটি আধুনিক বন্দর উপহার দেওয়ার ওপরও জোর দেন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বন্দরে বিস্ফোরক ও ডাম্পিং দ্রব্য অপসারণের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্ষমতা ও ইমেজ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরে আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ জনবল দিয়ে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি–রপ্তানিতে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।