ডাঙ্গার চর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর ৬০ ফুট গভীর থেকে তুলে আনা জাহাজটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেভিনিউ বিভাগের বলে জানা গেছে।
এটি দিয়ে তখনকার সময়ে তারা ঘুরে ঘুরে রেভিনিউ সার্ভে করতো। জাহাজটি থেকে নবাব সুজাউদ্দৌলার শাসনামলের বেশ কিছু ব্যবহার্য জিনিস পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জাহাজটি থেকে ওই সময়কার নানা সামগ্রী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন হিরামনি স্যালভেশ লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
উল্লেখ্য, সুজা-উদ্দিন মুহাম্মদ খান নাসিরি রাজবংশের বাংলার দ্বিতীয় নবাব ছিলেন। তিনি ১৭২৭ থেকে ১৭৩৯ পর্যন্ত এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। ১৭২৭ সালে তিনি ওড়িশার সুবেদার এবং বাংলার সুবেদার হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৭৩১ সালে বিহারের সুবেদার হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন।
জানা যায়, বন্দরের শর্ত মেনে হিরামনি নামের একটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ডুবে থাকা জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ৬ ও ৭ নং জেটির মধ্যবর্তী স্থানের বিপরীত পাশে ডাঙ্গারচর এলাকায় একটি ডুবে থাকা জাহাজ শনাক্ত করে এবং প্রায় ৮ মাস আগে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
তারা কর্ণফুলী নদীর ৩০ ফুট পানির গভীরে গিয়ে অন্তত আরো ৩০ ফুট মাটি খনন করে তার নিচ থেকে প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরানো জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে।