কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে যাওয়া পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য খালাসকালে আরোপিত ড্যামারেজ চার্জ ৭ দিনের জন্য মওকুফের বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গতকাল রোববার বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)-এর নেতৃত্বে বিজিএমইএ–এর একটি প্রতিনিধিদল নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি সরকারের নীতিগত এ অবস্থানের কথা জানান। খবর বাংলানিউজের।
দেশে চলমান সংকটাপন্ন অবস্থা ও কারফিউ এবং বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য আনলোডিং ব্যাহত হওয়ায় পোশাক রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হওয়ায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বন্দরে আটকে যাওয়া আমদানি পণ্য খালাসে অতিরিক্ত ড্যামারেজ চার্জ অর্পিত হয়।
বিজিএমইএ জানায়, এ প্রেক্ষিতে সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলটি রোববার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং বন্দরের মাধ্যমে আমদানি–রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন এবং ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য পোশাক খাতের অপেক্ষমান কন্টেইনারগুলো দ্রুততার সঙ্গে পোর্ট ড্যামারেজ চার্জ ব্যতীত খালাসের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানায়। জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সরকারের ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় পোশাক শিল্পকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মতে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল সংখ্যক আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাসের অপেক্ষায় আছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ কন্টেইনার তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট। আর প্রায় ১০ শতাধিক কোটি টাকার পোর্ট ড্যামারেজ চার্জ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকদের ওপর ধার্য করা হয়েছে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম সহ–সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ–সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ–সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী এবং পরিচালক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও আশিকুর রহমান (তুহিন) উপস্থিত ছিলেন।