বন্দরের সাবেক নিরাপত্তা পরিদর্শক আবুল বশরের সাড়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক নিরাপত্তা পরিদর্শক আবুল বশর চৌধুরীকে সাড়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। রায় ঘোষিত হবে জেনে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে এ সাজা দিয়েছেন। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের পৃথক দুটি ধারায় আবুল বশর চৌধুরীকে এ সাজা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬(২) ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে ২৭(১) ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৫৯৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বন্দর কর্মকর্তা আবুল বশর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমত উল্লাহ। তদন্ত শেষ করে তিনি ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট আবুল বশর চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধক্রেডিট কার্ডে লেনদেনে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার