চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যে কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মহানগর ছাত্রলীগ। মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও পরিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সল্টগোলার বন্দর ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন্দরে চট্টগ্রামের সন্তানদের কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১২১ জনের সার্কুলারের ১২১ জনকেই নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রাম বিভাগের সকল শ্রেণীর মানুষকে সাথে নিয়ে বন্দর ভবন ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোটা, পোষ্য কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠে মানববন্ধন থেকে। মানববন্ধনে স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ লেনদেনে বনিবনা না হওয়া, চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের ফলে মেধাবীরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবদ্দশায় বারবার চট্টগ্রামের মেধাবী সন্তানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। মানববন্ধনে ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ২০১৭ সালের সার্কুলারের কম্পিউটার অপারেটরসহ হিসাব রক্ষক পদে ১২১ পদের বিপরীতে ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮৯২ জন লিখিত পরীক্ষায় পাস করে। কম্পিউটার টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয় কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে সময় নিয়েছে দীর্ঘ তিন বছর। ১২১ জনের স্থলে চট্টগ্রাম বিভাগের সন্তানদের বাদ দিয়ে মাত্র ৭২ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। যা দুঃখজনক এবং চট্টগ্রামবাসীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সন্তানের জন্য বৈষম্যমূলক। তারেই ফলে এই পদে চট্টগ্রামের প্রার্থীরা মানববন্ধন করে বন্দর ভবন চত্বরে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফখরুল আহম্মেদ পাভেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক কবির আহম্মেদ প্রমুখ।