চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা।
গতকাল দুপুরে বন্দর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড খ্যাত তৈরি পোশাক শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য স্থির করেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। আমরা রাষ্ট্রকে একটি উন্নতর অবস্থায় পৌঁছে দিতে চাই। এ জন্য আমাদেরকেও যৌক্তিক কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আগামী দিনের কথা চিন্তা করে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বে–টার্মিনালের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া–সহ পর্যাপ্ত হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি বন্দরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চার্জ সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বন্দর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সচেষ্ট থাকার বিষয়ে বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন তিনি। এছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম. এহসানুল হক, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, রাকিব আল নাসের, গাজী মো. শহীদউল্লাহ সহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
