বন্দরের ক্রেন কেনায় চার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার দাখিল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের ১০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন ক্রয়ের টেন্ডারে চারটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গত বুধবার এই টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত টেন্ডার দাখিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় দশ টন ক্ষমতার ২৩ টি মোবাইল ক্রেন ক্রয়ের জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত বুধবার (২৫ নভেম্বর) টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। এগুলো হলো- ফ্রান্সের মেনিটোক ক্রেন গ্রুপ ফ্রেন্স এসএএস, সিঙ্গাপুরের ইকমট্রেড হোল্ডিং (প্রা:) লিমিটেড, জাপানে তাদানো লিমিটেড এবং জার্মানির সেনেবুগান ফেব্রিকস। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের এদেশীয় এজেন্টের মাধ্যমে টেন্ডার দাখিল করিয়েছে। টেন্ডার আহ্বানের পর একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিশেষ করে কালো তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান কৌশলে এখানে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অবশ্য বন্দরের কর্মকর্তারা শুরু থেকে এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন, টেন্ডারে যাতে অধিক কোম্পানি অংশ নিতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক দরে ভালো ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা যায় সেই চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে ১০ টন ক্ষমতার দশটি মোবাইল ক্রেন কেনা হয়েছিল। ওই সময় জার্মানির সেনেবুগান কোম্পানি ক্রেনগুলো সরবরাহ দিয়েছিল। এবারও তারা টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। তবে শেষতক দরপত্র যাছাই বাছাই শেষে ক্রেন সরবরাহের কার্যাদেশ কাকে দেয়া হয় তা সময়ই বলে দেবে বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, মেনিটোক আমেরিকায় উৎপাদিত যন্ত্রপাতি, ইকমট্রেড ও তাদানো জাপানে উৎপাদিত যন্ত্রপাতি এবং সেনেবুগান জার্মানির যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। উক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা মোবাইল ক্রেনগুলো সরবরাহের কাজ পাবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্রেনগুলো বন্দরে এসে পৌঁছাতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিসি রোডের কার্পেটিং শুরু কাজ শেষ ডিসেম্বরে
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় টিউবের নির্মাণ কাজ সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে শুরু