চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫নং জেটিতে গত ২০ এপ্রিল ধাক্কা দেয় হংকংয়ের পতাকাবাহী এমভি কানওয়ে ফরচুন নামের একটি জাহাজ। কন্টেনারবাহী জাহাজটির ধাক্কায় জেটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেড জেটি মেরামতে ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ টাকার একটি চেক জমা দেয়ার পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটিতে প্রায় ৪০০ রপ্তানি কন্টেনার রয়েছে বলে জানান শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, জেটিতে ধাক্কা লাগার ঘটনার পর চট্টগ্রাম বন্দরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একটি জরিপ চালিয়ে ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ টাকা ক্ষতি নিরূপণ করে। একইসাথে জেটি মেরামতের জন্য জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেডের কাছে সমপরিমাণ অর্থ দাবি করে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন আগামী ৮ মে তারিখে ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ টাকার একটি চেক জমা দিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগের অনুমতি চায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে এই মর্মে শিপিং লাইন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নিয়ে জাহাজটি বন্দর ত্যাগের অনুমতি দেয়।
জানতে চাইলে ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লিগ্যান অ্যাফেয়ার) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের জাহাজ এমভি কানওয়ে ফরচুন দুর্ঘটনা বশত এনসিটি জেটিতে ধাক্কা দেয়। জাহাজের ধাক্কায় জেটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে মেরামতের জন্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ টাকা দাবি করলে আমরা ১০ দিন সময় চেয়ে একটি চেক জমা করি। কারণ জাহাজ যেহেতু বিদেশি তাই অর্থ আনতে তো সময় লাগবে। বন্দর কর্তৃপক্ষও আমাদের সহায়তা করেছে। তারা আমাদের সেই সময় মেনে নিয়ে বন্দর ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে। আমাদের জাহাজে প্রায় ৪০০ রপ্তানি কন্টেনার ছিল।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক দৈনিক আজাদীকে বলেন, এমভি কানওয়ে ফরচুন নামের স্থানীয় এজেন্ট ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন জেটি মেরামতের জন্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ টাকার একটি চেক জমা দিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, সরকারি বিষয় তাই তারা যেন পে অর্ডার জমা দেন। পরবর্তীতে তারা অর্থ পরিশোধের জন্য ১০ দিন সময় চেয়ে একটি অঙ্গীকারনামা দেয়। তাই জাহাজটিকে বন্দর ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।












