নগরীর হালিশহরের একটি গুদাম থেকে বন্ড সুবিধায় আনা সাড়ে ১১ কোটি টাকা মূল্যের ১০৮ দশমিক ৪৭ টন ফেব্রিক্স জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। জব্দকৃত ফেব্রিক্সের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তারা। গতকাল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ঢাকার ডিইপিজেডের গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটিডের খালাসের অপেক্ষায় থাকা চারটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে চিহ্নিত করা হয়। চার কনটেইনারের চালানগুলো কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) কর্মকর্তা ও বন্দর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ফোর্স কিপডাউন করে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
কায়িক পরীক্ষা দেখা গেছে, চারটি চালানে আমদানিকারক ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ টকার ১০৮ দশমিক ৪৭ টন ফেব্রিক্স পাওয়া যায়। এসব ফেব্রিক্সের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য হলো ৩ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৪ টাকা। জব্দকৃত চালানগুলোর মধ্যে তিনটি বিএলের শিপিং এজেন্ট এমসিসি ট্রান্সপোর্ট (মার্কস বাংলাদেশ লিমিটেড) এবং একটি বিএলের শিপিং এজেন্ট ইউরোম্যাক্স লজিস্টিকস লিমিটেড। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরে স্পীডওয়ে লজিস্টিকসের ভাড়া গুদামে অভিযান চালিয়ে একই আমদানিকারকের আমদানি করা ১০৭ দশমিক ২৬ টন ফেব্রিক্স জব্দ করা হয়েছিল।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ জানান, তদন্তকালে দেখা গেছে প্রাপ্ত সব দলিলাদি আমদানিকার গোল্ডটেঙ গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ইস্যু হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির আবেদনের প্রেক্ষিতে বেপজা কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইপূর্বক আইপি ইস্যু করা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চিঠি দিয়ে কাঁচামাল আমদানির বিষয়টি অস্বীকার করলেও বেপজা থেকে আইপি গ্রহণসহ আমদানি দলিলাদির আলোকে বিষয়টি স্পষ্ট যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে বন্ড সুবিধায় শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে পণ্য চালানগুলো খালাস নেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন।
বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তি বন্ড সুবিধায় আনা পণ্যের অবৈধ মজুদ, সরবরাহ ও খোলা বাজারে বিক্রি বা বিক্রির চেষ্টা চোরাচালান বলে গণ্য। এসব পণ্য চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রির চেষ্টা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যা দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে কাস্টম হাউসে মামলা দায়ের করা হয়েছে।