কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকা ও চট্টগ্রামে বন্ডেড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে নন বন্ডেড শতভাগ প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পণ্য ও সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউপি (ইউটিলাইজেশন পারমিশন) পুনরায় ইস্যু করার দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত ২৫ এপ্রিল সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হঠাৎ করে পণ্য ও সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউপি জারি বন্ধ করার ফলে অনেক নন বন্ডেড প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলশ্রুতিতে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও সক্ষমতা বজায় রাখতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী সকল প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান হতে বন্ড লাইসেন্সবিহীন শতভাগ প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত সকল পণ্য ও সেবা সরবরাহকরণের নিমিত্তে পূর্বের ন্যায় ইউপি জারি অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। চিঠিতে আরো বলা হয়, বন্ড লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়। এক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে বন্ড লাইসেন্সবিহীন শতভাগ রপ্তানিকারকদের সরকার রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে থাকে। করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট সংকটের ফলে বর্তমানে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এই শিল্প সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যে বাধা সৃষ্টি করা হলে পোশাক শিল্প খাতে রপ্তানি সক্ষমতা হারাবে। দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতে বঞ্চিত হবে। তাই দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির ও সক্ষমতা বজায় রাখতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে বন্ড লাইসেন্সবিহীন শতভাগ প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত সকল পণ্য ও সেবা সরবরাহকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, এর আগে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এঙেসরিজ গ্রুপের (সিজিএজি) আহ্বায়ক মোহাম্মদ বেলাল বিষয়টি বিজিএমইএ সভাপতির নজরে এনে চিঠি লিখেন।