ঢাকার বনানীতে বিএনপির এক কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলায় আহত হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তাবিথ আউয়াল। এসময় আহত হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ কয়েকজন। এর মধ্যে তাবিথ আউয়ালকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। হামলাকারীদের রডের আঘাতে বুলুর মাথা ফেটে পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। হামলায় মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন, বুলুর স্ত্রী শামীমা বরকত লাকি, বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রাজুসহ আরও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বুলু ছাড়া অন্য আহতদের মধ্যে শরীফ হোসেনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা। খবর বিডিনিউজের।
জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের দলের তিন নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বনানীর কাকলীতে মোমবাতি প্রজ্বালনের এই কর্মসূচি পালন করে। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সড়কের এক পাশে মোমবাতি হাতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলা হয় জানিয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক বলেন, কর্মসূচি শেষ করে তাবিথ আউয়ালসহ নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
কুমিল্লায় হামলা : হামলার বিষয়ে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। ওই এলাকাটি নোয়াখালীর সীমানার কাছে। এজন্য তাকে এগিয়ে দিতে সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জেরর যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ৭/৮টি মোটরসাইকেল সঙ্গে ছিল। বিপুলাসার বাজারের একটু আগে গাড়ির চাকার হাওয়া কমে গেলে চালক আমাদের বাজারের একটি দোকানের সামনে নামিয়ে চাকায় হাওয়া ভরতে যায়।
বুলু বলেন, পাশে বাড়ি হওয়ায় মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফ হোসেন তাকে দেখে সেখানে আসেন। এছাড়া স্থানীয় এলাকার লোকজন তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আমরা সবাই চা-নাস্তা খাচ্ছিলাম। এমন সময়ে হঠাৎ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল ক্যাডার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্তিক হামলা চালায়। তারা আমাদের রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। আমার স্ত্রীর উপরও হামলা চালিয়েছে। আমার মাথায় রড দিয়ে তিনটি আঘাত করেছে। ওই সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে হত্যার জন্যই হামলা করেছে।
মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জাফর ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি; অভিযোগ পেলে কারা এই হামলা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।












