বনাঞ্চলের জমি ইজারা দেওয়ার উদ্যোগে টিআইবির উদ্বেগ

| রবিবার , ৪ অক্টোবর, ২০২০ at ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

মৌলভীবাজারের হারারগজ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যবর্তী ভূমি ‘খাস জমি’ হিসেবে দেখিয়ে একটি চা উৎপাদন কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শনিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান বলেন, শত বছরব্যাপী সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য অপরিহার্য এরকম একটি বনাঞ্চলের ঠিক মধ্যবর্তী ভূমি ‘খাস জমি’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার নজির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা খুবই উদ্বেগজনক। বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত বনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং পরিবেশের সুষম ভারসাম্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিডিনিউজের।
অথচ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের একাংশ পরিকল্পিতভাবে দৃশ্যত প্রভাবশালী একটি মহলের সাথে যোগসাজশে এই অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল জরিপে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ‘টিলা রকম’ ভূমির উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এর ফলে ভূমিটি ইজারা দেওয়া যেতে পারে বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুযোগ তৈরি করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ উঠেছে, তার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, মৌলভীবাজার জেলার একটি সংরক্ষিত বনের ঠিক মধ্যবর্তী ভূমি চা-বাগান সমপ্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্যিক চা উৎপাদনকারী কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার তোড়জোড় চলছে।
ত্রুটিপূর্ণ ভূমি জরিপ এবং তা সংশোধনে ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বনবিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের মধ্যেই বেশ কিছু কোম্পানি এই ২১৭৪.৩৫ একর ভূমি ইজারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশের প্রথম সারির একটি বাণিজ্যিক চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ট্রাইব্যুনালে চলতে থাকা মামলার নিষ্পত্তি সাপেক্ষে ইজারাপ্রাপ্তির গ্রিন সিগন্যাল পায়, ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ‘বিতর্কিত ভূমি জরিপের’ ওপর নির্ভর করে ‘পরিবেশ বিধ্বংসী, আত্মঘাতিমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে টিআইবি স্থানীয় পর্যায়ের যে সকল কর্মকর্তা উচ্চপর্যায়ে ভুল বার্তা প্রদানের মাধ্যমে সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৌলানা এমদাদ হোসেন
পরবর্তী নিবন্ধচলতি বছরের মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করতে হবে