জনতা ব্যাংকের ১২০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় নগরীর কোতোয়ালী এলাকার বনলতা গার্মেন্টসের চার মালিককে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। তারা হলেন মৃদুল চক্রবর্তী, শংকর সেনগুপ্ত, নিবা চক্রবর্তী ও অলক সেনগুপ্ত। এদের মধ্যে মৃদুল চক্রবর্তী বনলতা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নগরীর সিডিএ এলাকায় থাকা জনতা ব্যাংকের ফরেন এঙচেঞ্জ কর্পোরেট শাখার আবেদনে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়, ঋণ নিয়ে খেলাপি করায় বনলতা গার্মেন্টসসহ এর মালিকদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের করে জনতা ব্যাংক। পরের বছরের ২৮ নভেম্বর আদালত ডিক্রি জারি করে। এতে ষাট দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধের কথা বলা হলেও ঋণ পরিশোধ হয়নি। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে জারি মামলা করা হয়। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে থাকা বন্ধকী সম্পত্তি চেষ্টা করেও বিক্রয় করা যায়নি। কোনো আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, ডিক্রি মূল্য ৮৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৮১ টাকা হলেও সুদে–আসলে বর্তমানে এ টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২০ কোটি টাকা।