রাঙামাটিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর সহিংসতার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে তদন্ত কমিটি রাঙামাটিতে সহিংসতার কারণ উদঘাটন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং আগামীতে এ ধরনের সহিংসতা যাতে না ঘটে সে সুপারিশমালা প্রণয়ন ও তদন্তের কাজে মাঠে নেমেছে।
এদিন সকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপায় সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তদন্ত কমিটি স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, সদস্য রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তার, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজুসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী জানান, আমরা এসেছি মূলত সামপ্রতিক যে সহিংসতার ঘটনা ঘটলো, সেটি কেন ঘটেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাটা প্রণয়ন করা। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টা সরকারকে জানানো এবং সামনে যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা। এই তিনটা কাজ করাই আমাদের মূল দায়িত্ব। এছাড়াও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো পরিদর্শন করছি, তাদের বক্তব্যগুলো নিচ্ছি, তাদের বক্তব্যগুলো আমরা একটা প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে পৌঁছে দেব। সরকার যেহেতু তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সরকার এ ঘটনার বিষয়ে নিশ্চয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা উপজেলায় ও ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সামপ্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।