সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। বিশ্বে ঐতিহ্যে স্থান পেয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে এনে দিয়েছে সম্মান,সমীহ। উপকূলীয় এলাকার মানুষের সুরক্ষাবলয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বুকপেতে রক্ষা করে উপকূলবাসীকে। তবুও সুন্দরবনের প্রতি আমরা বড় নির্দয়। সুন্দরবনের সুন্দরী গাছের বড় দুঃসময়। ক্রমশ উজাড় হচ্ছে গাছপালা। মানুষের আবাস বাড়ছে। হ্রাস পাচ্ছে জীববৈচিত্র। গত দুই দশকে আকারে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে সুন্দরবন। উন্নয়নের নামে সুন্দরবনের গাঁ ঘেষেই তৈরি হচ্ছে নানা স্থাপনা, প্রকল্প। যা অদূর ভবিষ্যতে সুন্দরবনকেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। বিদ্যমান ১৬৬৯ প্রকারের প্রাণ-প্রজাতির ২৪ শতাংশই লুপ্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঘের পরিমাণও দ্রুতই হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ নেপাল-ভারত যখন বাঘ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে সেখানে আমাদের বাঘের সংখ্যা নেমে এসেছে শয়ের কোটায়। সুন্দরবনের বিপর্যয় ঠেকানো না গেলে বাঘও বাঁচানো যাবে না। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশে ‘বাঘ’ স্মৃতি হয়ে যাবে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বনখেকো মানুষদের হাত থেকে যেমন বনকে বাঁচাতে হবে তেমনি সরকারের নীতিনির্ধারকদেরও বুঝাতে হবে উন্নয়নের দোহা না দিয়ে শুরু করা চলমান বনবিধ্বংসী প্রকল্পগুলো যেন শীঘ্রই বন্ধ করে। বনরক্ষায় নিয়োজিত বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা যারা ভক্ষক হয়ে করোনাকালে বন উজাড়ে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের লাগামও টেনে ধরতে হবে। ২০০১ সাল থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে বেসরকারিভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। সবার প্রতি একটিই আহবান, বাসযোগ্য বাংলাদেশের স্বার্থে বনখেকোদের থামান, সুন্দরবনকে ভালোবাসুন
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, স্বপ্নবিলাস- ১১১১, রোড- ১০,
আ্যভিনিউ-০৮, মিরপুর ডিওএইচএস, ঢাকা।