নেতৃত্বের একাংশের বয়কটের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে সভাপতি করা হয়েছে। গত রোববার বেলা ১১টায় ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্বের উদ্বোধন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ‘বদি-বিরোধী পক্ষের’ বয়কটের কারণে তা বিকেল ৩টায় শুরু হয়। অধিবেশনে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউছুফ মনুর সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও অবশেষে সহসভাপতি আব্দুল জলিল সভাপতিত্ব করেন। খবর বিডিনিউজের।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কঙবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংগঠনিক দলের প্রধান রাজা শাহ আলম চৌধুরী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলদের মধ্যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুর রহমান বদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। তবে সম্মেলনের কাউন্সিলর অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী ও তাদের সমর্থকরা।
নুরুল বশর বলেন, একটি পক্ষ বয়কট করেছে। কারণ, টেকনাফ পৌর সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের পর পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী অনুপস্থিত ছিল। কাউন্সিলর তালিকা অনুমোদন নেই এবং অবৈধ ছিল। কাউন্সিলর তালিকায় মাদক মামলার বিচারাধীন আসামি, দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন আসামি রয়েছেন। সুতরাং অবৈধ দ্বিতীয় অধিবেশন আমিসহ অনেকেই বর্জন করেছে।
মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে আলোচিত আবদুর রহমান বদি দশম সংসদে কঙবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) এমপি ছিলেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তার বদলে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সবশেষ তিনি আলোচনায় আসেন চলতি বছরের ২২ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও ইফতার পার্টিতে মারধরের ঘটনায়। সেদিন তিনি টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউছুপ মনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ ভুট্টোকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।