জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নগরীর ডবলমুরিং থানায় দুদকের দায়ের করা মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আরো দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন তৎকালীন ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার সহকারী অফিসার তানভীর আলম ও সিনিয়র অফিসার রেজাউল করিম। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। এ সময় আসামি বদি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। কারাগার থেকে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের উক্ত মামলায় বদীর বিরুদ্ধে ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৪১ জন। সে হিসেবে আরো ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা বাকি।
দুদক পিপি রেজাউল করিম রনি দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আওয়ামী সরকার পতন পরবর্তী টেকনাফ থানার একটি হত্যা মামলায় নগরীর জিইসি এলাকায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমে কঙবাজার কারাগারে এবং পরে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন বদি। পরে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি রয়েছেন।
আদালতসূত্র জানায়, সর্বশেষ গত বছরের ২৯ অক্টোবর বদীর বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানায় বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের সাবেক উপ–পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় বদি, স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে সামিয়া রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। কিন্তু দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ও ২০০৬ ও ২০০৭ কর বর্ষের রিটার্নে বদি যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮০ টাকা। সে হিসেবে বদি সর্বমোট ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালতসূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৪ জুন এ মামলায় আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। এর এক যুগ পর ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।