আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে হওয়া বড় দুর্নীতির খবর ধামাচাপা না দিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ডিসিরাও এ বিষয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে অষ্টম কার্য–অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেক জেলায় দুদকের কার্যালয় না থাকা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি অপসারণ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিসিরা প্রশ্ন করেছেন। আমরা সেগুলোর জবাব দিতে চেষ্টা করেছি। খবর বাংলানিউজের।
তিনি আরও বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রায় অর্ধেক ছিল দুর্নীতি নিয়ে। একটি বিষয় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, দুদক পুরোনো দুর্নীতি নিয়ে বেশি কাজ করে। কিন্তু আমাদের কাজ করা দরকার যাতে সামনে আর দুর্নীতি না হয়। এখন যেটা আছে, সেটা যাতে আমরা বন্ধ করতে পারি এবং পুরোনোটা যাতে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারি। আমরা এখন যে কাজ করি, তার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সময় ব্যয় করি পুরোনো দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু ড. ইউনূস পুরোনো দুর্নীতি নিয়ে ২০ শতাংশ, বর্তমান দুর্নীতি নিয়ে ৩০ শতাংশ ও ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয় সেজন্য বাকি ৫০ শতাংশ সময় ব্যবহার করতে বলেছেন। এ নির্দেশনা আমরা নিজেরা গ্রহণ করেছি এবং জেলা প্রশাসকদেরও দিয়েছি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতিগুলো বিকশিত হয়, আমরা খুব তাড়াতাড়ি খবর পাই। কিন্তু আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে যে বড় দুর্নীতি হয়, সেগুলোর কোনো অভিযোগই আমরা পাই না। আমরা আজকে বলেছি, বড় দুর্নীতির খবরগুলো যেন আসে। আমরা যেন দুর্নীতির খবরগুলো ধামাচাপা না দিই, না লুকাই। জেলা প্রশাসকরা আশ্বস্ত করেছেন, তারা এগুলো নিয়ে কাজ করবেন।