ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের শেষ সীমানা বড়দারোগার হাটের ওজন স্কেলে প্রতিনিয়ত যানজটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গতকাল বন্ধের দিন শুক্রবারও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই অংশে ঢাকামুখী লেনে অন্তত ১০ কিলোমিটার যানজট ছিল। গাড়ি চলাচল করেছে ধীরগতিতে। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকে এভাবে যানজট হচ্ছে, সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট এলাকায় স্থাপিত ওজন পরিমাপক স্কেল বার্ষিক ইজারার ভিত্তিতে পরিচালনা করছে রেগন্যাম রিসোর্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর মনিটরিং করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ওজন মাপার জন্য অপেক্ষায় থাকায় এ পয়েন্টে প্রায়ই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জটে নাকাল হচ্ছেন বাসের যাত্রীরাও। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের যাত্রী সোহেল মাহমুদ বলেন, সীতাকুণ্ডের বড়দারোগারহাট স্কেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি।
বড় দারোগারহাট এলাকার ব্যবসায়ী আবু মুছা জানান, দিনের বেলায় ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল না করায় পরিমাপ স্কেলে যানজট হয় না। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করায় নানা জরিমানা আদায়ের জন্য দীর্ঘসময় যানবাহনগুলো আটকা থাকে। যার কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকে, এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
বড় দারোগারহাট ওজন মাপার স্কেলের শিফট ইনচার্জ মো. আবু সাঈদ বলেন, সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পথে যাতায়াত করে। প্রতিটি গাড়ি ওজন পরিমাপ করতে গিয়ে কিছু সময় ব্যয় হয়। ওজনে বেশি হলে অনেকসময় চালকরা স্কেল কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডা করলে কালক্ষেপণ হয়। যার কারণে গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। তবে স্কেলের নিয়োজিত কর্মীরা গাড়ির জট না লাগার জন্য সার্বক্ষণিক তৎপর থাকে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখানে যানজট হলে আমাদের প্রায় সময় হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে এটি সরকারের একটি ভিন্ন বিভাগ। তাই আমাদের বেশি কিছু করার থাকে না। তবুও আমরা যানজট হলেই চেষ্টা করি সড়ক সচল রাখার।