কদিনের টানা বৃষ্টিতে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা হয়ে উঠল কর্দমাক্ত ও ভারী। তাতে মেয়েদের স্বাভাবিক খেলা হলো বিঘ্নিত। প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। বিষয়টি মেনে নিলেন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলের কোচ। তবে সহজাত খেলা খেলতে না পারার হতাশা ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় আড়াল করলেন না কেউই। সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের রাউন্ড রবিন লিগে কিংস অ্যারেনায় গতকাল শ্রীলঙ্কাকে ৯–১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক উপহার দেন সাগরিকা। জোড়া গোল করেন মুনকি আক্তার।
একবার করে জালের দেখা পান স্বপ্না রানী, শিখা জাহান, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্দি। বড় জয়, সাগরিকার হ্যাটট্রিক নিয়ে তৃপ্তি থাকলেও বাংলাদেশ কোচ পিটার জেমস বাটলারের কথায় উঠে এলো গোলমুখে মুনকি–শিখাদের সুযোগ নষ্টের দিকটি। মাঠের কন্ডিশন নিয়েও নিজের হতাশা আড়াল করেননি এই ইংলিশ কোচ। প্রথমত গতিময় এবং আক্রমণাত্মক খেলার জন্য কন্ডিশন কঠিন ছিল। আমি কেবলই অনুভব করছি, আমরা একটু বেশিই সুযোগ নষ্ট করেছি। আমি অল্প কয়েকজনকে খেলার সুযোগ দিতে পেরেছি। আমার দৃষ্টিতে কেউ খুবই ভালো করেছে, অন্যরা হয়তো অতটা ভালো ছিল না। সাগরিকা ছিল দারুণ। নবীরন দৃঢ় মানসিকতার। শিখাও ভালো করেছে।
আসলে এদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘসময় খেলেনি। তবে আমি ভেবেছিলাম, ফিনিশিংয়ে আমরা আরও বেশি কার্যকর হব। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি আমাদের অনুকুলে আসেনি। মাঠ খুবই ভারী ছিল। অবশ্যই এটা কারো দোষ নয়। কদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। মাঠ যেমন ছিল সেটাই বললাম আরকি। কিন্তু আমরা ৯ গোল করেছি। শেষ দিকে একটা গোল খাওয়ায় একটু হতাশা আছে। তবে স্বস্তির বিষয় ম্যাচটা আমরা শেষ করতে পেরেছি কোনো ইনজুরি ছাড়াই। খেলার মাঝে শ্রীলঙ্কার একাধিক খেলোয়াড় মাঠ ছেড়েছেন আঘাত পেয়ে। দলটির কোচ সিরান্থা কে কালহাথ বাংলাদেশের খেলার প্রশংসা করলেও মাঠ নিয়ে ঠিকই জানালেন উষ্মা। তিনি বলেন আমি জানি বাংলাদেশ আসলেই খুবই ভালো দল। তারা লম্বা সময় প্রস্তুতি নিয়েছে। আমার দলে তিন জন অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছে মাত্র। বাকিরা একেবারেই নতুন। তাদের জন্য এটি ভালো অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি মাঠের অবস্থা একটু খারাপ। কিছু ইনজুরিও হয়েছে। আমি মেয়েদের বলেছি এটা তোমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা। আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। আবহাওয়া বদল করা সম্ভব নয়। তবে আমি আসলেই এমন মাঠ প্রত্যাশা করিনি।