গণ আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একদিনেই সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্ট। নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রথম দিনের শুরুতেই আগের দিনের পতনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ঢাকার পুঁজিবাজার। গতকাল মঙ্গলবার শুরু থেকেই দাম বেড়ে লেনদেনে আসে বেশির ভাগ শেয়ার, যা শেষ পর্যন্ত বহাল থাকায় সূচকে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়। খবর বিডিনিউজের।
এদিন লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম ১২ মিনিটে সূচক উঠেছিল ৫ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। এ সময় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ে। কিছু সময় পর সূচক কিছুটা কমলেও শেয়ারদর আবার বাড়তে থাকে। দিন শেষে সূচকে ১৯৭ পয়েন্ট যোগ হয়। শেয়ারের হাতবদল বাড়ায় এক মাস পর ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। এর আগে গত ৯ জুলাই এর চেয়ে বেশি ৯৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয় এ বাজারে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে অন্য দুই সূচকও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। আগের দিনের চেয়ে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭৬ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে শেষ হয়।
লেনদেনের শীর্ষে ব্যাংক : দীর্ঘদিন পর এদিন লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে এসেছে ব্যাংক খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনে এ খাতের অংশ ছিল ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এর আগে একদিন শীর্ষে উঠেছিল ব্যাংক খাত। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ডিএসইতে একটানা লেনদেনে শীর্ষে অবস্থান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনের প্রায় ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ অবদান রাখে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৩টি কোম্পানি। খাতভিত্তিক লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে চলে যায় খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।
এদিন দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ দর বেড়েছে একমি পেস্টিসাইডসের। আগের দিনের চেয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে সবশেষ লেনদেন হয় ১৬ টাকা ৫০ পয়সায়। দর বাড়ার দ্বিতীয় স্থানে ছিল অ্যাসোসিয়েটেড অঙিজেন। এরপর ছিল বারাকা পাওয়ার। অন্যদিকে একক কোম্পানি হিসেবে দর হারানোর শীর্ষে ছিল সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, কোহিনূর কেমিক্যালস ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।