বটের ডালে সুদর্শন চুনিমুখি মৌটুসী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির পাহাড়ি গ্রামে বট যেন অনিবার্য বৃক্ষ। প্রায় প্রতিটি পাড়ায় বট বৃক্ষ দেখা যায়। এ গাছের ফল পাখিদের কাছে বেশ প্রিয়। ফল পাকলে দেখা যায় নানা প্রজাতির পাখি গাছে গাছে ভিড় করছে। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি গ্রামেও অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মত রয়েছে বটবৃক্ষ। সেখানে গাছের তলায় তলায় গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান। দোকানে মানুষের আনাগোনা থাকলেও পাখিরা পাকা ফলের খোঁজে সাবলীলভাবেই বৃক্ষে বিচরণ করে। ফলদ বটবৃক্ষে সকাল থেকে সোনা কপালি হরবোলা, কাঠশালিক, পাহাড়ি ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ফল খেতে আসে। তবে চেনা এসব পাখির ভিড়ে আলাদাভাবে সবার নজর কাড়ে ছোট্ট সুদর্শন চুনিমুখি মৌটুসী।

সম্প্রতি দেখা যায়, পাকা ফলের খোঁজে বটের এ ডাল-ও ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক জোড়া চুনিমুখি মৌটুসী। খুব দ্রুত এদিক ওদিক যাচ্ছে তারা। মূলত পাকা ফল খুঁজে খাচ্ছে তারা। এরা আকারে চড়ুই পাখির চেয়েও ছোট। লম্বা প্রায় ১১ সেমি। বাংলাদেশে পাঁচ প্রজাতির মৌটুসীর মধ্যে চুনিমুখিদের দেখা মিলে খুব কমই। এদের গলা ও বুক লালচে কমলা, পেটের অংশ হলুদ। পুরুষ চুনিমুখির গাল উজ্জ্বল চুনি লাল। মাথা, পিঠ, ডানা ও লেজ ধাতব সবুজ। স্ত্রী ও পুরুষ চুনিমুখির মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। স্ত্রীর মাথা, পিঠ, ডানা ও লেজ জলপাই সবুজ। চোখ লালচে রঙের। পা ফ্যাকাশে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির পুরো দেহতল হলুদ।

খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা বলেন, পাহাড়ে বেগুনি কোমর মৌটুসী, বেগুনি গলা মৌটুসী সহজে দেখা গেলেও চুনিমুখি মৌটুসী মাঝে মাঝে দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এদের নিয়মিত দেখা যায়। তবে এরা আমাদের দেশের স্থায়ী পাখি। আইইউসিএন চুনিমুখি মৌটুসীকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসামনে বিশ্বজুড়ে বাড়বে কোভিড রোগী : গবেষণা