চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) লেক সিটি হাউজিং প্রকল্পে টাকা পরিশোধ করেও প্লট বুঝে পাননি ৯৮ জন গ্রাহক। প্লট বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এতে প্লট বঞ্চিতদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সৈয়দ মো. আবুল হাসেম। সংবাদ সম্মেলন থেকে সিটি মেয়রের কাছে প্লট বুঝিয়ে দেয়ার আবেদন জানিয়ে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব সদস্যকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া, একই স্থানে প্লটমালিকদের মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা, লেক সিটি আবাসন প্রকল্পের বিপরীতে জমা দেওয়া সব অর্থের সঠিক ব্যয়ের হিসাব দেওয়া, তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সময় প্রস্তাবিত পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এবং সমস্যা সমাধানে বর্তমান মেয়রকে উদ্যোগ নেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৬ সালে চসিকের লেক সিটি আবাসন প্রকল্পে প্লট কিনতে টাকা পরিশোধ করেছিলেন তারা। ওই সময় ৫৪৮ জনের কাছ থেকে টাকা নেয় চসিক। এর মধ্যে ৪৫০ জনকে প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয়। ৯৮ জন এখনো প্লট বুঝে পাননি।
সংবাদ সম্মেলনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে সবাইকে তিন কাঠা জমি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী জায়গার অপ্রতুলতার কারণে তিন কাঠার পরিবর্তে আড়াই কাঠা জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্লট পাওয়ার জন্য প্রথম দফায় ১৭ লাখ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন আবেদনকারীরা। কেউ গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি, পেনশনের টাকা, প্রবাসে উপার্জিত অর্থ আবার কেউ স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে এ টাকা জমা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অনিয়মের কারণে প্লট পাননি বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সমেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. সালাহ উদ্দিন, মো. আবদুল হক, নূরুল আলম , মো. আব্দুল কুদ্দুস, রোকেয়া বেগম, মো. আব্দুল মান্নান, মো. নুরুল ইসলাম ও সফুরা বেগমসহ আরো অনেকে।