বাঁশখালীর গন্ডমারা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পেকুয়ায় বজ্রপাতে ৪ জেলের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুতুবদিয়ায় দুজন, পেকুয়ায় একজন ও গন্ডামারায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাত হয়। এ সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কুতুবদিয়া : মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া গ্রামের জাকের উল্লাহর পুত্র ইমতিয়াজ (২৫) ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুংকাঁচা গ্রামের ছাবের আহমদের পুত্র মো. করিম (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়ার জাকের উল্লাহর ৩ পুত্র ইমতিয়াজ, রমিজ, আক্কাসসহ অন্যান্য মৎস্য শ্রমিকরা সমুদ্রতীরে ফিশিং বোট মেরামতের কাজ করছিল। দুপুর ১২ টার দিকে বোটের পাশেই বজ্রপাত হয়। এতে ৩ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহতদের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমতিয়াজ ও করিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রমিজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পেকুয়া : পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় আলী আহমদ (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি একই ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ পাড়া এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন জেলে এবং ঘটনার সময় ভোলাখালে মাছ ধরছিলেন।
বাঁশখালী : বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে উপজেলায় বজ্রপাতে মো. দিনার আলী (২৩) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার মরহুম কাসেম আলীর ছেলে।
জানা যায়, নিহত দিনার বঙ্গোপসাগরে হাটখালী মোহনার নিজস্ব ছোট্ট ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তখন বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ট্রলারে আরো ৪ জন মাঝিমাল্লা ছিল।