বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজের ২০ দিন পর মিলল লাশ

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ফিশিং বোটের জন্য মালামাল দিতে গিয়ে নিখোঁজের ২০ দিন পর গতকাল বুধবার হাবিবুর রহমানের (৩৮) লাশ পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী ৫ নং ঘাটের জেটি এলাকায় ক্ষতবিক্ষত একটি লাশ পেলে তা হাবিরের লাশ হিসাবে শনাক্ত করে তার স্ত্রী ও মা। পরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় গন্ডামারার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে বলে জানান থানায় অভিযোগ করা ও নিখোঁজ বোটের মালিকের ভাই সুফি আলম। সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর গন্ডামারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সুফি আলমের ভাই ভাই মায়ের দোয়া ফিশিং মাছ ধরার জন্য সাগরে যাওয়ার পথে খারাপ হয়ে গেলে সে খবর দিলে মুফিজুর রহমানের মালিকাধীন মায়ের দোয়া ফিশিং নিয়ে ৬ নভেম্বর খুঁজতে গেলে জাফর আহমদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৮), কামাল হোসেনের ছেলে ইকবাল হাসান (১৬), ছাবের আহমদের ছেলে আব্দুল মন্নান (১৮) এবং গুরা বাইশ্যার ছেলে মো. হেফাজ (১৩) নিখোঁজ ছিল। পরে ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজাখুজির পর ৯ নভেম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা কামনা করে এবং মো. সুফি আলম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় ৩৮৮নং (০৯/১১/২০) একটি ডায়েরি করে । এরপর দীর্ঘ ২০ দিন অতিবাহিত হলে ও কোন সন্ধান মিলেনি । গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ৫ নং ঘাটের জেটি এলাকায় ক্ষতবিক্ষত একটি লাশ পেলে সেখানে গিয়ে হাবিরের পরিবারের সদস্য তার লাশ হিসাবে চিহ্নিত করে এনে দাফন করলে আরো তিন জন নিখোঁজ তাদের কোন খবরাখবর না পাওয়া এ সব পরিবারে শোকের মাতম চলছে। এ ব্যাপারে মো. সুফি আলম বলেন, শক্রতা করে ফিশিং বোটটি নিয়ে গিয়ে জেলেদের মেরে ফেলেছে না হয় এতদিন অবশ্যই খুঁজে পেতাম। আর হাবিবের লাশ কেন কর্নফুলী এলাকায় পাওয়া গেল সেটা নিয়ে সে বলেন ডাকাতের না দিলে সেখানে তার লাশ যেতে পারেনা বলে দাবি করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালেক্টরেট সহকারী সমিতির কর্মবিরতি
পরবর্তী নিবন্ধলাইসেন্স ছাড়া কয়েল ও রড উৎপাদন