প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। আগামী বছর আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাবে। যে সব প্রতিষ্ঠান জায়গা নিয়ে উৎপাদনে যায়নি তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার হুশিয়ারি দেন মুখ্য সচিব।
ইতোমধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে বলেও জানান তিনি। আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ সময় বেজা কতৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর উৎপাদনে যাওয়া কয়েকটি কারখানা ও পরিদর্শন করেন তিনি।
মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর ঘিরে বিশাল ব্যাপ্তিতে শিল্পায়নে স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ন ঘটতে চলেছে। চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুন্ড, ফেনী জেলার সোনাগাজী মিলে প্রায় ৩৩ হাজার একর বিস্তীর্ণ জায়গায় গড়ে উঠছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোন। যা এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং বিশেষ মডেল ইকোনমিক জোন হিসেবে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণ করছে। এর পাশাপাশি চলছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে শিল্প-কারখানা স্থাপনের কাজ।
জানা যায়, দেশের একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে একক বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। ৩০টি জোনে বিভক্ত এই শিল্পনগর। বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন, সংযোগ সড়ক রাস্তাঘাট নির্মাণ, মাটি ভরাট, পানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার কাজ চলছে।

এদিকে, পরিবেশকে ঠিক রেখেই সমস্ত উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। সেই সাথে ১৮ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে বলেও জানান তিনি।
শিল্পনগরের ৩৩ হাজার একর জায়গায় পর্যায়ক্রমে ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৭ লাখ, প্রকল্প সম্পন্ন হলে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের টার্গেট রাখা হয়েছে।












