বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে তৈরি হচ্ছে তিন ইন্টার সেকশন (গোলচত্বর)। চাতরী চৌমুহনীর কাছে টানেলের মূল সড়ক ও সংযোগ সড়কের মিলনস্থল, কালা বিবির দীঘি মোড় এবং শিকলবাহা ওয়াই জংশনে এই তিনটি গোল চত্বরের মাধ্যমে যান চলাচলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানায়, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ লেনের টানেল সংযোগ সড়কের চার লেন যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুটি কালভার্টের কাজ শেষ হলে শতভাগ কাজ শেষ হবে চার লেনের। বাকী দুই লেনের কাজ শেষ করতে চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এদিকে রাস্তার কাজ শেষ করার পাশাপাশি যান চলাচলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত আনোয়ারা প্রান্তের পিএবি সড়কে ইউলুপ না থাকা, মেরিন একাডেমি থেকে সিইউএফএল পর্যন্ত সড়কের অপ্রশস্ততার কারণে প্রশস্ত ৬ লেন সড়কের সুফল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাছাড়া টানেলের সংযোগ সড়ক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন ছয় লেন সড়কের মোড়ে টানেল থেকে আসা গাড়িগুলোর ডান দিকে বাঁক নিতেও সমস্যা হবে বলেও মতামত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
এসব সমস্যা কাটাতে এখনই তিনটি গোল চত্বর বানানোর কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চাতরী এলাকায় টানেলের মূল সড়ক ও সংযোগ সড়কের মিলনস্থলে ৮২ ফুট ব্যাসার্ধের গোল চত্বর তৈরি করা হচ্ছে। এই চত্বর হয়ে গেলে কর্ণফুলী সেতু হয়ে আসা গাড়ি বাম দিকে মোড় নিয়ে টানেল অভিমুখে যেতে পারবে। দুইদিন আগে থেকে গোল চত্বরে মাটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে এই চত্বরটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এছাড়া কালাবিবির দীঘি মোড়ে আনোয়ারা, বাঁশখালী ও টানেল সড়কের সংযোগস্থলে আরো একটি গোল চত্বর হবে। এটি হবে প্রায় ১০০ ফুট ব্যাসার্ধের। এই প্রান্তে এসে শেষ হবে ১০ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক। এছাড়া শিকলবাহা ক্রসিংয়ে আরো একটি গোল চত্বরের কাজ শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে এই তিন গোল চত্বরের মাধ্যমে টানেল সড়কে যান চলাচলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দোহাজারী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ছয় লেন সড়কের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিংহ আজাদীকে বলেন, যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন করতে ছয় লেনের টানেল সংযোগ সড়কে ৩টি ইন্টার সেকশন (গোল চত্বর) হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাস্তার সৌন্দর্যবৃদ্ধির পাশাপাশি চলাচলও নিরাপদ হবে।