বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে আমজুর হাট ১২ কিমি সড়ক হবে বিকল্প বাইপাস

ব্যয় হবে সাড়ে ৪৯ কোটি টাকা পটিয়ায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ পাঁচ সদস্যের পরিদর্শন টিম

শফিউল আজম, পটিয়া | শুক্রবার , ১২ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় সাড়ে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে নতুন মাইলফলক। পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি বিকল্প বাইপাস সড়ক হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ সড়কটিতে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন কৈয়গ্রাম সেতু ও এ সড়কের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম কর্ণফুলী টানেল এর সাথে তৈরি হবে যোগাযোগের অন্যতম সেতুবন্ধন।

১২ কিলোমিটার এ সড়ক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রকল্পটি পরিদর্শন এসেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইদুজ্জামানসহ পাঁচ সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে কৈগ্রাম সেতু হয়ে আমজুর হাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রশস্তকরণ ও ২ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শন টিমের সদস্যরা প্রকল্পটির চূড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেন। এসময় পটিয়ার এমপি ও দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ পরিদর্শন টিমে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনার কলি, উপ সচিব উম্মে হাসিনা, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, উপসচিব সুমি মজুমদার, ঢাকা এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী, পটিয়া এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল, জিরি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

এলজিইডির প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও ২ কিলোমিটার সড়ক কাজের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের জন্য বিমান বন্দর থেকে পটিয়া এবং বিকল্প বাইপাস হিসেবে ব্যবহার হবে। এর ফলে মহাসড়কে যানজট নিরসনসহ মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে। এছাড়াও সরকারের জিডিপিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি দৈনিক আজাদীকে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে টানেল থেকে আমজুর হাট বাইপাস সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টানেল থেকে পটিয়া আসতে সর্বোচ্চ ১৫২০ মিনিট সময় লাগবে। পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন শেষে এ সড়কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেবেন বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি মজুদের সক্ষমতা
পরবর্তী নিবন্ধপুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে মিছিল