বঙ্গবন্ধু টানেল: আনোয়ারাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের পরশপাথর

রিমু দেবী | শুক্রবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহর থেকে পৃথক করেছে সম্ভাবনময় এক অঞ্চল আনোয়ারাকে। শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে চট্টগ্রাম নগরী। অন্যদিকে দক্ষিণ পাড় বিশেষ করে আনোয়ারা দীর্ঘদিন যাবত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে অনেক পিছিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এই অঞ্চলে উন্নয়নের দুয়ার উম্মোচন করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। যা আনোয়ারাবাসীদের কাছে ভাগ্য পরিবর্তনের পরশপাথরের মতো। দইজ্জের তলে চলের গাড়ি, অর্থাৎ সমুদ্রের নিচ দিয়ে গাড়ি চলছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল দিয়ে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সিটি আউটার রিং রোড দিয়ে পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলে প্রবেশ করে আনোয়ারা প্রান্তে পটিয়াআনোয়ারাবাঁশখালী সড়কের চাতরী চৌমুহনী পয়েন্টে উঠা যাবে। ফলে দূরত্ব ও যাতায়াতের সময় দুইই কমে যাবে। যা বিদেশি বিনিয়োগের মূল আকর্ষণ হবে, এতে পরিকল্পিত ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প, কলকারখানা স্থাপনা বাড়বে, ফলশ্রুতিতে কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বাড়বে। বঙ্গবন্ধু টানেল আনোয়ারাবাসীদের জন্য এক অপার উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের প্রতীক। যা এই অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনে আনোয়ারাবাসীরা অনেক আবেগাপ্লুত কারণ এই টানেল এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অলীক স্বপ্ন পূরণের সুড়ঙ্গ। তদের চোখে এখন উন্নত ভবিষ্যতের হাতছানি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারীর স্বাধীনতা নিয়ে কেন বিকৃত পরিহাস
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনে অসহায় মানবতা : মুসলিম বিশ্ব নির্বিকার