বঙ্গবন্ধু টানেলে কার রেসিং : পুলিশের হাত ঘুরে মামলার তদন্ত ভার গেল পিবিআইতে

কর্ণফুলী প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ জুন, ২০২৪ at ৫:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে মধ্যরাতে কার রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাতটি প্রাইভেটকারকে চিহ্নিত করে দেওয়া মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য দায়িত্ব পেলেন চট্টগ্রাম মেট্টোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এর আগে মামলাটির চার্জশিট দিয়েছিলেন কর্ণফুলী থানার এসআই মো. রাজ্জাকুল ইসলাম রুবেল। তিনি চার্জশিটে প্রাইভেটকারে থাকা তিনজনকে যাত্রী হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন বলে সূত্রে জানায়।

২৩ জুন (রোববার) মামলাটি ধার্যদিনে শুনানি হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ পুনরায় পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দীন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাত অনুমান ১১টায় ক্রসিং এলাকায় ৭ থেকে ১০টি প্রাইভেটকার নিয়ে অজ্ঞাতনামা চালক এবং তাদের সহযোগী পরস্পর যোগসাজশে কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্মুখভাগে চায়না হারবাল ক্রসিং ও টানেলে ভিতর গতিসীমা লঙ্ঘন করেন।

গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে গাড়িগুলোর অজ্ঞাতনামা চালক টোল পরিশোধ করে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে টানেলের ভেতর প্রবেশ করে।

পরে টানেলের সিসিটিভি মনিটরিং কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সাতটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করে। দুই-তিনটি প্রাইভেট কারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে হলিউড সিনেমা ‘দ্যা ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’র সঙ্গে তুলনা করা হয়। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। টানেলে মধ্যরাতে ভয়ংকর কার রেসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসেছে কতৃপক্ষ।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সহকারী ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম কর্ণফুলী থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে রেসিং কারের নম্বর উল্লেখ করে সাতটি কারের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। মামলায় কয়েকজন আগাম জামিনও নেন।

সাতটি প্রাইভেট কারের নাম্বর হলো- চট্ট মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, চট্ট মেট্রো-ঘ-১১-৫৭০২, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-১৮১৪, চট্ট মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩, চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪ ও ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭। মামলায় আরও দুই থেকে তিনটি প্রাইভেট কারের চালকসহ তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সিসিসিসি ও এন্ড এম সাইট অফিসের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। শুনেছি এখন পিবিআই তদন্ত করবে। তবে টানেলের প্রবেশ মুখ, ভেতরসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের সাইনবোর্ড সাঁটানো দেখার পরেও তারা বিপজ্জনকভাবে গতি তুলে রেসিং, ওভারটেকিং করেছিলো।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে অস্ত্র মামলায় আসামির ১৭ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধমারা গেছেন সেই আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান