হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনটাই যেন তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মত। তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন স্বাধীন বাংলাদেশ, গৌরবের পতাকা। এদেশকে নিয়ে ছিল তাঁর অনেক স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই তাঁকে চলে যেতে হল। পুরো জীবনটা তিনি সমাপ্ত করে যেতে পারলেন না। মুক্তির এই মহানায়ক যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেট তাঁর জীবন কেড়ে নেয়। খুনিচক্র থামিয়ে দেয় জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণের অগ্রযাত্রা। জাতির ললাটে এঁকে দেয় কলঙ্ক তিলক।
বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। লিখেছেন ” কারাগারের রোজনামচা”। লিখতে শুরু করেছিলেন আত্মজীবনী। কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় সেই “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” প্রকাশিত হওয়ার পর দেশ- বিদেশে এটি আলোড়ন তুলেছে। সোঁদামাটির গন্ধ মেশানো গ্রাম- বিভূঁইয়ের এক সাধারন বালক শেখ মুজিব কিভাবে তাঁর সহজাত গুণাবলী দিয়ে উঠে এসেছেন নেতৃত্বের সামনের কাতারে, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে রেখেছেন ভূমিকা তার নির্মোহ বর্ণনা আমরা পাই তাতে। কি সাবলীল ভাষায় তিনি বলে গেছেন তার বাল্যকাল, কৈশোর, যৌবনের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসা দিনগুলোর কথা। নিজেকে কখনও বড় করে দেখানের চেষ্টা এতে নেই। কাউকে ছোট করে দেখানো বা অসম্মান প্রদর্শনও তিনি করেন নি। কোন কিছু লুকানোর চেষ্টাও তিনি করেননি। অকপটে তিনি সব বলে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষ পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনও হয়ে গেল। জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানানো হল। সংসদের ইতিহাসে এ ধরনের অধিবেশন এই প্রথম। অধিবেশন শুরু হয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর উদার ও সহিষ্ণু আচরণের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না, বরং তাঁদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তাঁর জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট ছিল।’
বঙ্গবন্ধুর ‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করলে আমরা তাঁর সেই উদারনৈতিক শিষ্টাচারের পরিচয় পাই। শেখ মুজিব যখন মুসলিম লীগের কর্মী তখন থেকেই ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভক্ত ও অনুসারী। কলকাতায় মুসলিম লীগের একটি কমিটি গঠনে চট্টগ্রামের মুসলিম লীগের কর্মীদের সহায়তা গ্রহণের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, “১৯৪৩ সাল থেকে চট্টগ্রামের এই কর্মীদের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, আজ পর্যন্ত সে বন্ধুত্ব অটুট আছে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আজিজুর রহমান, ডা. সুলতান আহমেদ (এখন কুমিল্লায় আছেন), আবুল খায়ের চৌধুরী এবং আরও অনেকে ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। অনেকেই ছিটকে পড়েছেন। আজিজ ও জহুর আজও সক্রিয় রাজনীতি করছেন। জহুর শ্রমিক আন্দোলন করেন এবং সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি। এম এ আজিজ (এখন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক) পাকিস্তান হওয়ার পরে অনেকবার ও অনেকদিন জেলে কষ্ট ভোগ করেছেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী তখন এদের নেতা ছিলেন। পরে তিনি মুসলিম লীগেই থেকে যান। আজিজ ও জহুর আওয়ামী লীগে চলে আসেন। চৌধুরী সাহেব খুবই স্বার্থপর হয়ে ওঠেন এবং একগুঁয়েমি করতেন, সেজন্য যারা তাঁকে চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, পরে তারা সকলেই তাঁকে ত্যাগ করেন।”
শেখ মুজিব যখন কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে থাকতেন তখন অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম লীগের দাপট। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কলকাতার বাসায় মুজিবের অবাধ যাতায়াত ছিল। তিনিও তরুণ মুজিবকে খুবই স্নেহ ও বিশ্বাস করতেন। মুসলিম লীগও একাধিক গ্রুপে বিভক্ত ছিল। একজন ছাত্র কর্মী হয়েও শেখ মুজিব তখন মুসলিম লীগের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে মাথা ঘামাতেন এবং সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন। মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করার কাজেও তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যায়ের। সফলও হয়েছেন। এ রকম একটি ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেন, “এই সময় ফজলুল কাদের চৌধুরী পার্লামেন্টারি বোর্ডের মেম্বার হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন ও ভীষণ ক্যানভাস শুরু করেন। আমিও তাঁর জন্য তদ্বির করেছিলাম। শহীদ সাহেবও প্রায় রাজী হয়ে গিয়েছিলেন। লাল মিয়াকে বাদ দিয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরীকে নেওয়া হবে, তখনও ফাইনাল হয় নাই। এই অবস্থায় রাতে ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব নাজিমুদ্দিন সাহেবের সাথে দেখা করলেন এবং তাঁকে নমিনেশন দিলে তিনি চট্টগ্রাম গ্রুপ নিয়ে তাঁর দলে যোগদান করবেন বলে প্রস্তাব দিলেন। শহীদ সাহেব রাতেই খবর পেলেন এবং বললেন, “ওকে কিছুতেই নমিনেশন দেওয়া হবে না। কারণ এই বয়সেই ওর এত লোভ।” শেষ পর্যন্ত নাজিমুদ্দিন সাহেবও তাঁকে তাঁর দল থেকে নমিনেশন দিতে রাজী হলেন না।”
২.
দিল্লীতে মুসলিম লীগের কনভেনশন আহবান করা হয়েছে। কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দলবল নিয়ে কনভেনশনে যাচ্ছেন দিল্লী। তাঁদের বিদায় জানাতে যারা স্টেশনে এসেছিল ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে তারাও উঠে বসল এই বলে যে, আমরাও যাব দেখতে। যাবার সময় স্পেশাল ট্রেন বলে সমস্যা হয়নি। কিন্তু ওদের কলকাতা ফেরার পথে ভাড়ার ব্যবস্থা কোথা থেকে হবে, থাকবে কোথায়, খাবে কোথায় এসব চিন্তা বড় হয়ে দেখা দিল। জীবনে প্রথমবার দিল্লী যাচ্ছেন। আর কখন সুযোগ হয় কে জানে। তাই দিল্লীর লালকেল্লা, কুতুব মিনার, জামে মসজিদ, আজমীর শরীফে খাজাবাবার দরগাহ জেয়ারত এবং আগ্রায় তাজমহল দেখার মনোবাসনা নিয়ে গেছেন। কনভেশন শেষে বের হবেন ঘুরতে। হাতে টাকা পয়সা তেমন নেই। কিভাবে দর্শনীয় স্থানসমূহে গেলেন দেখলেন তার একটি সুন্দর বর্ণনা আমরা পাই ‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। মনোমুগ্ধকর এক ভ্রমণ কাহিনী যেন। পাঠক যেন লেখকের সাথে ঘুরে দেখছেন সেসব দর্শনীয় স্থানসমূহ। কোথাও কোন বাহুল্য নেই। সহজ সরল ভাষায় সব বর্ণনা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়ে গেলেও ক্লান্তি আসে না। আজমীর, আগ্রায় কয়েকদিনের সফরে শেখ মুজিব আট/দশজন নিয়ে যাত্রা করেছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাথে।
এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আমরা আট- দশজন ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাথে আজমীর শরীফ রওয়ানা করলাম। চৌধুরী সাহেব সাথে আছেন, টাকার দরকার পড়লে অসুবিধা হবে না। আবার দিল্লী শহরকে ভালভাবে দেখে নিলাম। শত শত বৎসর মুসলমানরা দিল্লী থেকে সমস্ত ভারতবর্ষ শাসন করেছে। তখন কি জানতাম, এই দিল্লীর উপর আমাদের কোন অধিকার থাকবে না।”
আজমীর থেকে আগ্রায় যাওয়া, সেখানে আগ্রা হোটেলে রুম নিয়ে উঠলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। মুজিব ও সাথীদের জন্য হোটেলের লনে দুইটা তাঁবু ঠিক করে দিলেন। থাকা খাওয়ার সব খরচ চৌধুরী সাহেবই দিলেন। তাঁবুতে খাটিয়া আর গোসলের পানি ও পায়খানার ব্যবস্থা পেয়েই খুশি মুজিব। তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা নিয়ে মনে কোন খেদ ছিল না। তাজমহল দর্শন ইত্যাদির চমৎকার বর্ণনার পাশাপাশি মোগলদের পতনের পর মুসলিম সভ্যতার অনেক নিদর্শন ও সম্পদ লুটপাটের কথাও তুলে ধরেছেন তাঁর লেখনীতে।
তিনি লিখেছেন,” কিছু সত্য, কিছু গল্প, তবে একটা কথা সত্য, মোগলদের পতনের পরে বারবার লুটতরাজ হয়েছে। জাঠ ও মারাঠি এবং শেষ আঘাত হেনেছে ইংরেজ। জাঠ ও মারাঠিরা কিছু কিছু লুট করেই চলে গিয়েছিল। কিন্তু ইংরেজ সবকিছুই লুট করে নিয়ে গিয়েছে ভারতবর্ষ থেকে। ”
উদ্বৃতিতে ফজলুল কাদের চৌধুরীর প্রসঙ্গটি একাধিক বার এসেছে। তিনি একসময় প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির অংশ হয়ে যান এবং শেখ মুজিবের প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে যান। কিন্তু অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠে পাঠক দেখলেন একটি বারের জন্যও মুজিব তার সম্পর্কে এমন কোন মন্তব্য করেন নি যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়। এই ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং তার ছেলে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধকালে নিরস্ত্র- নিরীহ বাঙালির উপর অনেক জুলুম নির্যাতন চালিয়েছেন। কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নতুন চন্দ্র সিংহসহ অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছেন। স্বাধীন দেশে তারা ফ কা চৌধুরী ও সাকা চৌধুরী নামে পরিচিত হন। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হয় আদালতের রায়ে। ফজলুল কাদের চৌধুরী স্বাধীনতার পর কারাগারে মারা যান। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দী শিবির থেকে ফিরে যখন তাঁর স্বপ্নের ও আরাধ্যের বাংলাদেশের হাল ধরেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী মারা যাওয়ার পর তার পরিবার যেন আর্থিক কষ্টে নিপতীত না হয় সেজন্য নেপথ্যে নানা সহযোগিতা করেন বলে প্রচার আছে। বঙ্গবন্ধু কখনো এ নিয়ে কিছু বলেন নি। তিনি অতীতকে খেয়াল রেখেছেন, সৌজন্য দেখিয়েছেন। ফ কা চৌধুরীর পরিবার কিন্তু ন্যূনতম শিষ্টাচার দেখাতে ব্যর্থ হয়। এখানেই বঙ্গবন্ধুর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের পরিচয় মেলে, যা একজন মহানায়কের মাঝেই শুধু বিদ্যমান।
৩.
আত্মজীবনীতে একটি অতি সাধারণ ঘটনার বর্ণনা শেখ মুজিব দিয়েছেন যেটি আমার কাছে মনে হয়েছে অসাধারণ। কারণ এ রকম সহজ সরল স্বীকারোক্তি একজন মহান ব্যক্তিত্বের পক্ষেই সম্ভব। দিল্লী থেকে ফিরবেন। তাঁরা একসাথে তখন আছেন তিনজন। ঘুরতে ফিরতে হাতে থাকা টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেছে। হাওড়া পর্যন্ত তিনজনের টিকেট করার টাকা নাই। তিনজনে মিলে ঠিক করলেন একখানা টিকেট কিনে কোনো ‘সার্ভেন্ট’ ক্লাসে উঠে পড়বেন। ধরা পড়লে হাওড়ায় একটা ব্যবস্থা করা যাবে। শেখ মুজিব লিখেছেন, ” প্রথম শ্রেণীর প্যাসেঞ্জারদের গাড়ির সাথেই চাকরদের জন্য একটা ছোট্ট গাড়ি থাকে। সাহেবদের কাজকর্ম করে এখানেই এসে থাকে চাকররা। দিল্লী যাওয়ার সময় আমরা ইন্টারক্লাসে যাই। এখন টাকা ফুরিয়ে গেছে, কি করি? একখানা তৃতীয় শ্রেণীর টিকেট কিনলাম হাওড়া পর্যন্ত। আর দুইখানা প্লাটফর্ম টিকেট কিনে স্টেশনের ভিতরে আসলাম। মাখনের চেহারা খুব সুন্দর। দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না ‘চাকর’ হতে পারে। আমরা শুনলাম, খান বাহাদুর আবদুল মোমেন সাহেব এই বগিতে যাবেন। নূরুদ্দিন খোঁজ এনেছে। ভাবলাম, বিপদে পড়লে একটা কিছু করা যাবে। নূরুদ্দিনকে খান বাহাদুর সাহেব চিনতেন। তিনি রেলওয়ে বোর্ডের মেম্বারও ছিলেন। আমরা তাঁর গাড়ির পাশের সার্ভেন্ট ক্লাসে উঠে পড়লাম। মাখনকে বললাম, তুমি উপরে উঠে শুয়ে থাক। তোমাকে দেখলে ধরা পড়ব। এই সকল গাড়িতে বোধহয় কোনো রেলওয়ে কর্মচারী আসবে না। নূরুদ্দিনকে সামনে দিব যদি কেউ আসে। একবার এক চেকার সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কোন সাহেবের লোক”? নূরুদ্দিন ঝট করে উত্তর দিল “মোমেন সাহেব কা “। কোনমতে হাওড়া পৌঁছালাম, এখন উপায় কি? পরামর্শ করে ঠিক হল, মাখন টিকেট নিয়ে সকলের মালপত্র নিয়ে বের হয়ে যাবে। মালপত্র কোথাও রেখে তিনখানা প্লাটফর্ম টিকেট নিয়ে আবার ঢুকবে। আমরা একসাথে বের হয়ে যাব। গাড়ি থামার সাথে সাথে মাখন নেমে গেল, আমরা দুইজন ময়লা জামা কাপড় পরে আছি। দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না যে আমরা দিল্লী থেকে আসতে পারি। চশমা খুলে লুকিয়ে রেখেছি। মাখন তিনখানা প্লাটফর্ম টিকেট নিয়ে ফিরে এসেছে। তখন প্যাসেঞ্জার প্রায়ই চলে গেছে। দুই চারজন আছে যাদের মালপত্র বেশি। তাদের পাশ দিয়ে আমরা দুইজন ঘুরছি। মাখন আমাদের প্লাটফর্ম টিকেট দিল, তিনজন একসঙ্গে বেরিয়ে গেলাম। তখন হিসাব করে দেখি, আমাদের কাছে এক টাকার মত আছে। আমরা বাসে উঠে হাওড়া থেকে বেকার হোস্টেলে ফিরে এলাম। না খেয়ে আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে।” (চলবে)।
লেখক : বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান, দৈনিক সময়ের আলো।