চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরবৃন্দ গতকাল শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত ও মুনাজাত শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রথম বারের মত আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। মেয়র পদে চট্টগ্রাম নগরবাসী নৌকার পক্ষে যে গণরায় দিয়েছেন আমি সেজন্য অভিভূত এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্বের কথা উপলদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত একযুগ ধরে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের চেহারাই শুধু পাল্টে যাবে না জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জলাবদ্ধতা নিরসনসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আমার কার্যদিবসের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে বেশ কিছু জরুরি সেবামূলক কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করার কৌশল নির্ধারিত করেছি। আশা করি চট্টগ্রাম নগরবাসী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন। আমি আরো আশা করি বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন তা চট্টগ্রামের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ও বিবেচ্য বিষয় বিধায় চট্টগ্রাম নগরবাসী শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন এবং তাঁর হাতকে শক্তিশালী করে সকল চক্রান্ত ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। তিনি চসিক নির্বাচনে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ঐক্যই আমাদের শক্তির ভিত্তি তাই বিভেদ-বিভাজনের কোন অবকাশ নেই। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ মো. হোসেন, বখতিয়ার উদ্দিন খান, সৈয়দ মাহমুদুল হকসহ দলীয় শীর্ষ নেতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্তলীর সদস্য, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও নির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।