বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি। একজন বিচারবিজ্ঞ লেখক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমাজবাদ চিন্তার অগ্রদূত। তাঁর মতামত ও চিন্তাধারায় বিভিন্ন মনীষী, লেখক ও দার্শনিকদের চিন্তাও আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ ছায়াপাত লক্ষণীয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসিটর হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। তাঁর রচিত কবিতা, গান, উপন্যাস, নাটক, ছোট গল্প, প্রবন্ধসমূহে সমাজ পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে স্বপ্ন, প্রেম, স্বাধীনতা এবং মানবতার উচ্চতা নিয়ে তাঁর আদর্শগুলি সব সময় উপস্থাপিত থাকে। প্রথমেই জাতীয় সংগীত।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।’ স্বাধীনতার পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর রবীন্দ্রনাথকে কতখানি ভালোবাসছেন তার প্রথম প্রমাণ জাতীয় সংগীত। ফি রোজ রাতে শুনতেন ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার উপরে ঠেকাই মাথা/ তোমাকে বিশ্বমায়ের বিশ্বময়ীর আঁচল পাতা।’
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তাভাবনায় রবীন্দ্র মতাদর্শের প্রভাব ছিলো প্রবল। জনগণের কাছে তিনি বারবার রবীন্দ্র চিন্তাধারা তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্র প্রেমে আপ্লুত বঙ্গবন্ধু চিরদিনই রবীন্দ্রনাথকে চিত্তে ধারণ করেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথকে একজন দারিদ্র্য নিরাময়কারী, মানবিক এবং স্বাধীনতাপ্রেমী হিসেবে প্রশংসা করেতেন। সমাজবাদের আদর্শকে সংগঠিত করে তুলতে রবীন্দ্রনাথের কৃতির অপরিসীম প্রভাব একটি মৌলিক উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনে। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে তিনি রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা করেছেনএবং তাঁর প্রভাবের গুরুত্ব ও মানবিকতা নিয়ে বিচার করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর মতামতে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা একটি মূল আদর্শ ছিল যা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে প্রবল প্রভাব ফেলেছিল এবং তিনি রবীন্দ্র চিন্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতর্ক করেছেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক কার্যক্রম ও দারিদ্র্য উন্মোচনের কাজে বঙ্গবন্ধু আরো বেশি গুরুত্ব আরো আরোপ করেন। রবীন্দ্রনাথের উপযুক্ত শিক্ষা প্রণালী, সামাজিক সংঘবদ্ধতা এবং দারিদ্র্য নিরাময়ের প্রভাব বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও কার্যক্রমে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা ও গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নিজের আদর্শ এবং সমাজবাদের মূল মূল্য ও মানবিকতা উপস্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, রবীন্দ্রনাথের কাব্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানবিকতা এবং স্বাধীনতা, এবং এই আদর্শগুলি ছিল তাঁর চেয়েও বেশি আপনিত এবং উচ্চতর সমস্যা সমাধানের মাধ্যম। বঙ্গবন্ধুর মতে, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ও চিন্তাগুলি সমাজে প্রতিফলিত হওয়া উচিত, যাতে সমাজে ন্যায্য ও সমতা সম্পর্কে উচ্চতর স্বচ্ছলতা ও সদভাবনা উন্মোচন হতে পারে।
এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে আদর্শের ব্যক্তিগত সম্পর্ক পড়েছিল। তিনি রবীন্দ্রনাথের কথায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সাথে বাইরে থাকার জন্য আপনার কিছুই বাঁচাতে হবে না, কারণ আপনি আমাদের মধ্যে একজন আছেন।’ এই বাণীটি বঙ্গবন্ধুর রবীন্দ্রনাথের প্রতি সংগতি এবং আদর্শবাদী মনোভাবকে প্রতিষ্ঠা করে।
সম্পূর্ণভাবে বিবেচনা করে বলা যায় যে, রবীন্দ্রনাথের অসামপ্রদায়িক চেতনা বঙ্গবন্ধুর উপর প্রভাব ফেলেছিল। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন ‘ভারত তীর্থ’ কবিতাটি।
‘দেবে আর নেবে
মেলাবে মিলিবে এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে’
বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের মতো মহামানবের মিলন কে বিশ্বাস করতেন। সারা জীবন তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’(সভ্যতার সংকট ) রবীন্দ্রনাথের সমাজবাদের আদর্শগুলির সাথে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গতি ছিল। তাঁর সাহিত্যিক ও সামাজিক কার্যক্রম বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শগুলির প্রভাবকে আরও সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য, গান এবং সাহিত্যিক কার্যক্রম নিয়ে প্রচুর ভেবেছেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এবং বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার পরও তিনি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক মূল্য ও আদর্শগুলির উপর দৃষ্টি নির্ধারণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘স্বদেশী সমাজ’ প্রবন্ধে ” we want to see the face of our Homeland through a particular human সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মানুষগুলোকে খুঁজেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যে সমাজের সমস্যা ও সামাজিক অস্থিরতা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে সমাজের দুঃখ, দারিদ্র্য, মানবতার ক্ষতি ও ন্যায্যতা সংকটের প্রশ্ন উপস্থাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানেন, রবীন্দ্রনাথ এই কাব্যের মাধ্যমে সমাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উচ্চতর স্বচ্ছলতা ও বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করেছেন।
সাহিত্যিক দক্ষতা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মতামতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ একজন অপূর্ব কবি ও সামাজিক নেতা ছিলেন, যাঁর মাধ্যমে সমাজ আত্মনির্ভরশীলতা, স্বশাসন এবং সমাজে বিভিন্ন সংগঠন গঠন করেছিল। তিনি রবীন্দ্রনাথের কাব্যের মাধ্যমে সমাজে স্বাধীনতা, ন্যায্য ও মানবিকতার মূল্য বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরও বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের চিন্তাগুলি সর্বাধিক মূল্যায়ন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রবীন্দ্রনাথের কাব্য এবং গান সমাজে প্রতিফলিত হয়েছিল যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সাহিত্যিক উদ্দেশ্য এবং আদর্শগুলির প্রভাব বার্তা দেওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের আদর্শবাদী মনোভাব, সমস্যা সমাধানের প্রতিষ্ঠান ও মানবিকতার মূল্য নিয়ে সম্পূরক আলোচনা করেছিলেন।
সম্পূর্ণ ভাবে বিবেচনা করে বলা যায় যে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যিক কার্যক্রম একটি মাধ্যম হিসেবে সমাজে মানবিকতা, সমাজবাদ স্বাধীনতা, আত্মনির্ভরশীলতা, প্রেম সমাজ চেতনা, ইতিহাস চিন্তা, সর্বোপরি মানব প্রেম বাঙালি জনগণের কাছে প্রতিফলিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও কাব্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শগুলির উপর গভীর প্রভাব দেখানো এবং তাঁর সমাজিক কার্যক্রমে সংস্কৃতি, মানবিকতা ও স্বাধীনতা বিষয়ে আলোচনার বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের কাব্য ও বইগুলির উদাহরণ দিয়ে তাঁর চিন্তা ও আদর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই আদর্শগুলি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং তারপরও জাতীয় উন্নয়নে প্রভাবশালী হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ পড়ে বঙ্গবন্ধু বিস্তৃতভাবে আলোকিত হয়েছিলেন। তিনি মানেন, ‘চিত্ত যেতে চায় উজ্জ্বল অভিযাত্রায়। সে যে পথ দেখে না পাশে কোনো কারো হাতের লিখিত কিছু আছে কিনা!’
এই লাইনগুলি বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাব বিস্তার করে। তিনি একটি নতুন পথে অগ্রসর হতে বাঙালি জনগণকে উৎসাহিত করেন এবং নতুন নতুন সংস্কৃতি ও মানবিকতার আলোকে সমাজবাদ ও স্বাধীনতার আদর্শগুলি উন্নয়ন করেন।
আরও একটি উদাহরণ হলো রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি। বঙ্গবন্ধু মতে, ‘গীতাঞ্জলি‘এমন একটি কাব্যগ্রন্থ যা মানবিকতার উচ্চতর আদর্শগুলির একটি সংকলন । সমাজের পরিবর্তন ও উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে।
সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।’
সকল অহংকার ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘রবীন্দ্রভাবনা‘র এই পবিত্র মাটি, আমাদের চিন্তা ও মনস্থিরতার কাছাকাছি প্রতিফলিত করতে চাই’। এই লাইনগুলি বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র গঠনে অমূল্য অবদান রাখে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই উদাহরণগুলি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথের কাব্য ও বইগুলির সমাজবাদ এবং স্বাধীনতা আদর্শের প্রভাব উপস্থাপন করেছেন। তিনি মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মানবিকতা, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার মূল্যায়ন ও উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারায় রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও আদর্শ সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্য এবং বইগুলির মাধ্যমে তিনি মানবিকতা, সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতা আদর্শগুলির উন্নয়নের মার্গ বলে নির্দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের কাব্য এবং বইগুলি একটি নতুন বিশ্বের নির্মাতা রবীন্দ্রনাথকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং প্রশংসিত হয়েছেন। যা মানব সমাজের পরিবর্তন ও পুনর্নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন মহান রাষ্ট্রনেতা ছিলেন। যিনি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজের মাধ্যমে মানবিকতা ও স্বাধীনতার আদর্শগুলি সমাজে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কাব্য এবং বইগুলির মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের চেতনা ও আদর্শগুলি আমাদের সবার মাঝে নির্ভুলভাবে প্রকাশ করেছেন। এই সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মতামত, অনুভূতি, প্রেম এবং আদর্শ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর মনে ‘রবীন্দ্রনাথ প্রভাতের সূর্য হিসেবে উঠে এসেছেন, স্বাধীনতার আলো ও সমাজবাদের আলোকময় পথিক হিসেবে পথ দেখিয়েছেন’।
সকল উদাহরণ ও মন্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি, কাব্য এবং বইগুলির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন। রবীন্দ্র ভাবনা ও চিন্তার মাধ্যমে মন মানবিকতা, সমাজবাদ, স্বাধীনতা আদর্শ বাস্তবায়নের দিকে পথ নির্দেশ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের শব্দগুলি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও বিচারের মধ্যে একটি অভিনব সমন্বয় সৃষ্টি করেছে এবং তিনি সেই আদর্শ বিশ্বের স্বপ্নের কাছাকাছি থাকেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের কাব্য, বই ও অবদানের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর, মানবিক এবং আদর্শমুখী সমাজ গঠনের পথে চলছি। রবীন্দ্রনাথের বাণীর মতে, ‘যে দিন গগনে বাজিল আলো, বিপ্লবের কাছে দিন গো’। বঙ্গবন্ধু মনে করেন, এই বাণী প্রকাশ করে যে সকল মানুষের অন্তরে উত্থান ও পরিবর্তনের চেয়ে প্রচণ্ড শক্তি আছে, এবং সে শক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান করার উপর একটি অসাধারণ আদর্শ রেখেছিলেন। তিনি বিশেষভাবে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক উপন্যাস, কবিতা এবং গানে মৃদুল আলঙ্কারিকতা এবং জীবনদৃষ্টির দ্বারা আকর্ষিত হন। বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত গান ‘আমার সোনার বাংলা’ হলো একটি প্রমাণিত উদাহরণ, যেটি রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতির ও ভাষার গৌরবকে সংকেত করে। এই গানে বঙ্গবন্ধু প্রশংসা করেছেন বাংলা ভাষার মর্যাদার জন্য, যা রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে মুক্তির ও স্বাধীনতার সংকেত হয়েছিল।’
বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন রবীন্দ্রনাথের বৃত্তান্তকার ও চরিত্রান্তর প্রশংসক। রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সাহিত্য ও শিল্পের গৌরবকে বৃদ্ধি করেন। বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথকে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদানের প্রস্তাব ওঠেছিল, যা কার্যকর হতে পারেনি কিন্তু এটি প্রশংসার একটি প্রমাণ, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের গৌরবকে সর্বদা উচ্চতর দর্জায় রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। ১৮–৯০১৯৩৭ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বহুবার বাংলাদেশে এসেছেন। একইভাবে, বঙ্গবন্ধু চিরদিনই সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শকে সম্মান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ ও স্বাধীনতার সংগ্রামের সময়ে রবীন্দ্রনাথকে একটি নির্দেশক আলোক হিসেবে দেখেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের আদর্শ জীবনযাপনকে অনুসরণ করে জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পথিকৃত হন। বঙ্গবন্ধুর মনে রবীনন্দ্রনাথ হলেন একজন মহান মানবিক ও আদর্শবান ব্যক্তি, যার চেতনামূলক কাজ জাতি ও সমাজ গঠনে সহায়ক।
লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক; অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।