রাউজানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী পালনের কর্মসূচি নিয়ে গতকাল বুধবার রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল ও নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।
এতে জানানো হয়, রাউজানে ৬ মার্চ সকালে রাউজানের প্রবেশপথ সর্তারঘাট হালদা সেতু এলাকা থেকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হবে। ম্যারাথনের উদ্বোধন করবেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এরপর তার নেতৃত্বে ম্যারাথনে অংশ নেবেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। লাল সবুজের বিশেষ পোশাকে ম্যারাথনে যোগ দেবেন দুই হাজার নারী-পুরুষ।
এদিন থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব ও পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। এতে ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হবে বর্ণাঢ্য ও সাড়া জাগানো। ম্যারাথনে যারা অংশ নেবেন তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য সাথে থাকবে এ্যাম্বুলেন্সসহ চিকিৎসক টিম, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সাথে থাকবে পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। জলিলনগরে ম্যারাথন শেষ হবে। এতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা।
তিনি জানান, পরদিন ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ সারা দিনের কর্মসূচি থাকবে। কর্মসূচিতে রাউজানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করবে। আশা করা হচ্ছে দুই হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ হবে। এই রক্ত সন্ধানীসহ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এসিল্যান্ড অতিশ দর্শী চাকমা, ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজসহ ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান শেষে ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী গ্রুপ লিডারদের হাতে বিশেষ পোশাক হস্তান্তর করা হয়।