বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণে আছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। এখানে মুক্তি কথাটির নানা অর্থ রয়েছে। এর একটি অর্থ হল অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আজ সারা বিশ্বের একজন নেতাতে পরিণত হয়েছেন। যখনই দেশের কোন দুর্যোগ আসবে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে আমাদের মনশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। গতকাল বৃহস্পকিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে আয়োজিত ৭ মার্চ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সভা সঞ্চালনায় ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুঁজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগনকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন। পাকিস্তানি শাসনামলের বঞ্চনার ইতিহাস কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে তা তার বক্তৃতায় উঠে আসে। শেষে শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়াপাঠ, ৭ মার্চের ভাষণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৭ মার্চ দিবসের অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।












