সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গড়ার ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছেন তখনই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এক জোট হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এই হত্যার মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালি জাতিকে হাজার বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সুচিন্তা বাংলাদেশ-চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। সব মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র বাঙালি রাজনীতিক যিনি তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সাথে আপোষ করেননি। শুধু দেশকে ভালোবেসে-এই দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য তাঁকে ১৪ বছর জেল খাটতে হয়েছে। এজন্যই তাঁর ডাকে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
সুচিন্তা বাংলাদেশ-চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সুচিন্তা বাংলাদেশ- চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্য দেবাশীষ পাল দেবুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি স্থপতি আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দীন, মূখ্য আলোচক ড. মাসুম চৌধুরী, সুচিন্তার উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইমরান, বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সুচিন্তা চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক আবু হাসনাত চৌধুরী, ডা. হোসেন আহমেদ, তপন চক্রবর্তী। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মারুফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সজিবুল ইসলাম, মায়মুন উদ্দীন মামুন, সরওয়ার উদ্দিন জুমা প্রমুখ।