বগুড়ার দই, চাঁপাইয়ের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম পেল জিআই স্বীকৃতি

| বৃহস্পতিবার , ৬ জুলাই, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

সরকারি জিআই স্বীকৃতি পেয়ে ভৌগলিক পরিচয় শক্তিশালী করল বগুড়ার দই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। কোরবানির ঈদের ছুটির আগে গত ২৫ জুন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে দেরিতে।

ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান গতকাল বুধবার বলেন, গত ২৫ জুন তিনটি পণ্যের জিআই সনদ ইস্যু করেছি। দ্রুতই অনুষ্ঠান করে এই তিনটি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই তিনটা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫টি পণ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ পেল। খবর বিডিনিউজের।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বপ্রথম জামদানি শাড়িকে জিআই সনদ দেওয়া হয়। এরপর ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, কালিজিরা চাল, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন জিআই সনদ পায়। নাটোরের কাঁচাগোল্লা, কুমিল্লার রসমালাই, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, কুষ্টিয়ার তিলের খাজাও জিআই সনদের জন্য বিবেচনায় আছে।

জিল্লুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। জিআইএর উদ্দেশ্য দুটি। একটি হচ্ছে ভৌগলিক পণ্যের স্বীকৃতি। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বৃদ্ধি। মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের গুরুত্ব বাড়বে। জিআই পণ্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন পরিস্থিতিও জোরদার হতে পারে। এই স্বীকৃতির মানে হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মানের পণ্যগুলো ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলেই হচ্ছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বা কুমিল্লা বা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও দই হয়। কিন্তু বগুড়ার দইয়ের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা স্বাদ বিদ্যমান। সেটা কারিগরি দক্ষতা, বা বিশেষ উপাদান বা ওই এলাকার দুধের মানের কারণেও হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুবিধাবঞ্চিত ও নিম্নআয় পরিবারের মাঝে প্রয়াসের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধঢেমশায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান