চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্রী সিএনজি টেক্সিতে স্কুল থেকে ফেরার পথে যাত্রীবেশী দুই বখাটের অশোভন আচরণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রী টেক্সি থেকে লাফিয়ে বখাটের কবল থেকে রক্ষা পায়। পরে ধাওয়া দিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে ধরে পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাদের ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তারা হচ্ছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সরফভাটা গ্রামের খায়ের আহমেদের ছেলে আবু ছালেক (৩২) ও একই এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. ইয়াছিন (১৮)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রী স্কুল ছুটি শেষে যাত্রীবাহী টেক্সি করে বাড়ি ফিরছিল। ওই টেক্সিতে ছিল দুই বখাটে। তারা ছাত্রীর একাকিত্বের সুযোগে অশোভন আচরণ করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সে টেক্সি থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড়াতে থাকে। এ সময় টেক্সির পেছনে থাকা এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাটি দেখে ধাওয়া দিলে টেক্সি থামিয়ে চালক পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় দুই বখাটে। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে পিটুনি দিয়ে সেনা সদস্যদের ফোন করে। সেনা সদস্যরা ছুটে এসে আটক বখাটেদের চুয়েট ফাঁড়ি পুলিশে সোপর্দ করে। দুজনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে হাজির করলে বখাটেরা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। ইউএনও অংগ্যজাই মারমা তাদের স্বীকারোক্তি শুনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুইজনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।