বকেয়া ভ্যাট আদায় কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখার অনুরোধ বিজিএমইএর

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারের সাথে মতবিনিময়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় বকেয়া মূসক (ভ্যাট) আদায় কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র প্রথম-সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার নগরীর আগ্রাবাদের কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে রপ্তানি বাণিজ্য অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্র্থে পোশাক শিল্পকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে হবে। পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মূসকের আওতামুক্ত হলেও নগদে স্থানীয় ক্রয়ে উৎসে মূসক আদায়ে সিএ ফার্মের অডিট রিপোর্টসহ প্রায় এগারো ধরনের বিভিন্ন দলিলাদি দাখিল করার জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হচ্ছে। বিগত ৫ বছরের বকেয়া মূসক আদায়ের লক্ষ্যে দাবিনামা জারী করা হচ্ছে। ফলে রপ্তানিকারকগণ বিভিন্ন জটিলতা ও প্রচুর হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় এই বিষয়ে কার্যক্রম সহজীকরণপূর্বক দাবিনামা জারী না করে পর্যাপ্ত সময় প্রদান এবং বকেয়া মূসক আদায়ে কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখার জন্য তিনি ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ জানান।
কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান বিবেচনায় সরকার কর্তৃক শুল্ক, ভ্যাট মওকুফসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছে। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পকে সহায়তার লক্ষে উৎসে মূসক আদায় কার্যক্রম সহজীকরণসহ ৫ বছরের পরিবর্তে ২ বছরের বকেয়া মূসক আদায় এবং দাবিনামা জারির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে পোশাক শিল্প রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। বর্তমানে বিশ্ব মন্দার প্রেক্ষিতে রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হচ্ছে। এই সংকটকালীন মুহূর্তে পোশাক শিল্পের রপ্তানির ধারা অব্যহত রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় ক্রয়ে উৎসে মূসক আদায় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল আলম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দীন, পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন-অর-রশিদ, রাজীব চৌধুরী, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, এএম শফিউল করিম খোকন, মো. হাসান জ্যাকি, এম. এহসানুল হক, বিজিএমইএ’র মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমানসহ বিজিএমইএর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ। কাস্টমস ভ্যাটের পক্ষে অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও অন্যান্য উপ-কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনারকে বিজিএমইএ স্মারক ও বনসাই উপহার দেয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত রেড ক্রিসেন্ট
পরবর্তী নিবন্ধ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়ে পটিয়া পৌরসভাকে সাজানো হবে