বই পড়ার উপকারিতা

ছাবের আহমদ চৌধুরী | শুক্রবার , ১১ জুলাই, ২০২৫ at ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

ছোটবেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস ছিল আমার। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বই কিনতাম। একদিন জামালখান বাতিঘর থেকে একটি বই কিনলাম। বইটা নিয়ে চেরাগী পাহাড়ের পাশে একটি প্রকাশনায় বসে গল্প করছিলাম, ঐ সময় প্রকাশনায় বসা একজন লোক আমাকে বলল বইটার দাম কত? আমি বললাম ৫০০টাকা। তখন লোকটি বলল, প্রতি শুক্র ও শনিবারে চকবাজার গুলজারের পাশে পুরাতন বই বিক্রয় করে, ঐ বইটি সেখানে ২০টাকা দিয়ে পাওয়া যাবে, তবে লেখা সমান সমান। এর পর থেকে আমি চট্টগ্রামের চন্দনপুরা থেকে এঙেস রোডের মাথায় একটি ভাঙ্গারির দোকান আছে, ঐ দোকান থেকে ৭০টাকা কেজি হিসাবে প্রায় সময় পুরাতন বই পড়ার জন্য ক্রয় করি। বর্তমানে আমার বই পড়ার অভ্যাস বেড়ে গেল। বই পড়ার কারণে আমার পত্রিকায় লেখালেখির আগ্রহও বাড়লো। সেই সুবাধে এক সময় আজাদী পত্রিকায় একটি লেখা দিলাম। লেখাটা পত্রিকায় প্রকাশের পর আমরা মনে এমন খুশি জাগল, যে খুশি জীবনে কখনো কপালে জোটেনি। আমি বই পড়ি অনেক সময় বই উপহার দিই। একদিন কোয়ান্টামের একটি বই ‘সব সম্ভব’ আজাদী পত্রিকার মাননীয় সম্পাদক এম.এ মালেককে উপহার দিই। উনি চেয়ার থেকে উঠে আমার হাত থেকে বইটি নিয়ে বলেন ‘সব সময় আমি বক্তিতায় বলি Everything is Possible,’ আজকেই সব সম্ভব বইটার সাথে আমার কথার সাথে মিলে গেল। বই পড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা জ্ঞান, বুদ্ধি, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। বই পড়া মনকে শান্ত করে, মনোযোগ বৃদ্ধি করে, স্মৃতি শক্তি বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। এছাড়া, বই পড়ার মাধ্যমে নতুন শব্দ শেখা যায়, যা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। পাঠ করার ফলে উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা ও দুঃখবেদনা দূর করে। পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকাকালে মিথ্যায় ডুবে থাকা থেকে বাঁচা যায়। স্বভাবগত পাঠ বা পড়ার অভ্যাস মানুষকে এত ব্যস্ত রাখে যে, অলস ও অকর্মাদের সাথে বন্ধুত্ব রক্ষা করা যায় না। ঘনঘন পাঠের দ্বারা বাগ্মিতার এবং স্পষ্ট বক্তব্যের গুণ লাভ করা যায়। পাঠ মনকে উন্নত করতে এবং চিন্তাভাবনাকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। পাঠ জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতি ও বোধশক্তি উভয়কেই উন্নত করে। আমি সকলকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখরনদ্বীপ কেরানী বাজার সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী
পরবর্তী নিবন্ধআলোকিত সমাজ গঠনে বইয়ের ভূমিকা