বই নয়, যেন হীরের টুকরো

স্বপন কুমার সিকদার | মঙ্গলবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক ও ‘উল্টো থেকে’ গ্রন্থের লেখক জনাব আবদুল মালেক উক্ত গ্রন্থে সমাজকে তথা সমাজ ব্যবস্থাকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন, সমস্যাসমূহ তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ও সমাধানের কথা বলেছেন। লেখকের বিচক্ষণ উপস্থাপনা, ভাষা ও ভাবের গভীরতা, প্রাঞ্জলতা বা মাধুর্য বইটিকে মোহনীয় করেছে ও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ‘তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো’ (সূরা বাকারাহ্‌)। লেখক ‘উল্টো থেকে’ গ্রন্থে গণমানুষের কথা ভেবে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। লেখকের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সরকারি/আধাসরকারি সিস্টেমের বুদ্ধিদীপ্ত সমালোচনা করেছেন, কখনো কৌতুক করেছেন, কখনো কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন, কখনো হাস্যরস করেছেন, কখনো পাঠকের মনে প্রেমের বা ভালোবাসার ছোঁয়া লাগিয়েছেন। কখনো লেখকের প্রেমের বা ভালোবাসার কথাগুলোর সুদক্ষ উপস্থাপনা লেখকের প্রতি আমাদের সহমর্মী করে তুলেছেন। কবিগুরুর মত আমাদের মাঝেও লেখক প্রশ্ন সৃষ্টি করতে সমর্থ হন যে– ‘সখী, ভালোবাসা কারে কয় ! সে কি কেবলই যাতনাময়। সে কি কেবলই চোখের জল? সে কি কেবলই দুখের শ্বাস?’

ভ্রমণকাহিনিসহ বিভিন্ন ধরনের লেখায় বইটি সমৃদ্ধ। এক কথায়, বইটি যেন ‘হীরের টুকরো’। বইটি সমাজ পরিবর্তনে তথা উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ক্ষেত্রভেদে Passive resistance অনেক বেশি ফলদায়ক হয়। বইটির নামকরণ ‘উল্টো থেকে’ সুন্দর ও সার্থক হয়েছে। বইটির আরো বহুল প্রকাশ ও প্রচার একান্তভাবে কামনা করছি।

লেখক: প্রকৌশলী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআম্মাকে ছাড়া কষ্টের ঈদ
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব অর্থনীতির অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি : মার্কিন ডলার