নগরীর ব্যস্ততম রাস্তার দুপাশের ফুটপাতে টেবিলে সাজানো সারি সারি বই। দিনভর নানাবয়সী পাঠকের আনাগোনো। পঠিত বই জমা দিলেই পছন্দমত নেওয়া যাবে অপঠিত অন্য কোনো বই। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের বইপ্রেমীরা এমনই এক ব্যতিক্রমধর্মী উৎসবের স্বাদ পেলেন। ‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’ এই স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামে আয়োজিত হয়েছে ‘বই বিনিময় উৎসব ২০২২’। স্টোরিটেলিং প্লাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের উদ্যোগে গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নগরীর জামালখানে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য লেখক ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন। প্রায় ৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ২০ হাজারের মত বই বিনিময় হয়েছে এই উৎসবে। কথাসাহিত্য, শিশুতোষ, কবিতা, ইতিহাস, রাজনীতি, আত্মজীবনী, দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, গণিত ও বিজ্ঞানসহ বারোটি ক্যাটাগরিতে বই বিনিময়ের সুযোগ পান অংশগ্রহণকারীরা। উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের ১২০ জন ভলান্টিয়ার। সকাল দশটায় শুরু হওয়া এই উৎসবের শুরু থেকেই দেখা যায় নানা বয়সী পাঠকের উপচেপড়া ভীড়। বাবার হাত ধরে আসা শিশু থেকে স্কুল পড়ুয়া কিশোরী কিংবা প্রবীণ নাগরিক, সব বয়সী পাঠকের এ যেন এক বৈচিত্র্যময় মিলনমেলা। উৎসবের আয়োজক সংগঠনের পরিচালক সাইদ খান সাগর বলেন, যেকোনো পড়ুয়া ব্যক্তির কাছেই বই অমূল্য সম্পদ। পাঠক থেকে পাঠকে এই সম্পদের হাতবদল শুধু যে বইপাঠের প্রসারই বাড়াবে তা নয়, বরং বইপ্রেমীদের মাঝেও তৈরি হবে এক আত্মিক সম্পর্ক। সংগঠনটির সহযোগী পরিচালক অংকন দে অনিমেষ এবং মাহির আজরফ জানান, প্রিয় মানুষের উপহার দেওয়া বই কিংবা প্রতিদিন হাতখরচ থেকে একটু একটু করে টাকা জমিয়ে কেনা বইগুলো যেন এই শহরের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের একেকটি গল্পের প্রতিচ্ছবি। আর সেই গল্পের হাতবদল করতেই এই আয়োজন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের রক্তিম বড়ুয়া, আইমান আওসাফ, সাদিয়া সুলতানা, রিনভি নুসরাত, আব্দুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।