বইপ্রেমীদের জন্য নগরের জামালখান খাস্তগীর স্কুলের সামনে চালু হয়েছে ‘বুক এক্সচেঞ্জ কর্নার’। এই কর্নারে একটি বই রেখে আরেকটি বই নেয়া যাবে। গতকাল শনিবার সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন কর্নারটির উদ্বোধন করেন। ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় এবং অন্ত্যমিল প্রকাশনীর তত্ত্বাবধানে জামালখান খাস্তগীর স্কুলের সামনে এই বুক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এই উদ্যোগ আমার খুবই ভালো লেগেছে। এখানে আমি একটা বই নিব, বইটি এখানে আমার পড়া হয়ে গেলে, সেই বইটি আমি নিজে নিজেই এখানে জমা দিব এবং নতুন একটি বই নিয়ে যাব। আমরা সততার মাধ্যমে এই কাজটি করবো। স্ক্যান কোডের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার নাম ঠিকানা দিয়ে কোন বইটি আপনি নিচ্ছেন কোন বইটি রেখে গেছেন সবকিছু এই স্ক্যান কোডের মাধ্যমে অনলাইনে সেটা যুক্ত হয়ে যাবে। আপনি কোন বই ডোনেট করতে চাইলে সেটাও ডোনেট করতে পারছেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের যে পবিত্র কোরআন যেটা আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে নাজিল হয়েছিল সেখানের প্রথম বাক্য ছিল ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’। কারণ পড়ার কোন বিকল্প নেই। আমাদেরকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। আমি মনে করি, পড়াশোনা জীবনের শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে এবং পড়াশোনা করে আলোকিত সমাজ, আলোকিত মানুষ, আলোকিত রাষ্ট্র আমাদের তৈরি করতে হবে।
মেয়র বলেন, একটি শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি মানুষের চিন্তাধারা বিকাশে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্লিন বাংলাদেশের এই উদ্যোগ বইপ্রেমীদের মধ্যে পাঠচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শওকত হোসেন জনি বলেন, এই বুক এক্সচেঞ্জ কর্নারে সততার ভিত্তিতে বই বিনিময় করা যাবে। একটি বই রেখে আরেকটি বই নেওয়ার মাধ্যমে একজনের জ্ঞান অন্যের কাছে পৌঁছাবে। সততাই হবে এই উদ্যোগের মূল চালিকা শক্তি।
অন্ত্যমিল প্রকাশনীর তানভীর রিসাত বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বই নিয়ে কাজ করছি। বই পড়া এবং অন্যকে বই পড়তে দেওয়ার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। এই কর্নার পাঠকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উদ্যোক্তারা জানান, এই বুক এক্সচেঞ্জ কর্নারটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং পাঠকরা এখানে এসে স্বেচ্ছায় বই রেখে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিতে পারবেন। কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজেই বুক এক্সচেঞ্জের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। বই পড়ার প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও প্রণব কুমার শর্মাসহ ক্লিন বাংলাদেশের কর্মীরা।