ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার মূল হোতা ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দুজন বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় পৃথকভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলা/বিডিনিউজের।
দুই দফায় ৯ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনায়েদ আসামি সামিয়া ও ওয়াহেদের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিন আসামি লিমার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের জবানবন্দি : এদিকে শরীফ ওসমান বিন হাদি যে ব্যাটারিচালিত রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন, সেটির চালক কামাল হোসেন সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফয়সাল আহমেদ তাকে আদালতে হাজির করে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। ঘটনাকালে হাদি সাক্ষী মো. কামাল হোসেনের চালিত অটোরিঙা যোগে খলিল হোটেল, মতিঝিল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।












