চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজস্থ শাহ্ আলম বীর উত্তম মিরনায়তনে গত শুক্রবার ফ্রোবেল প্লে স্কুলের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র–ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে পিএইচপি ফ্যামিলির কর্ণধার সুফী মিজানুর রহমান প্রধান অতিথি এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম সহ বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেন আকবর আলী (এফসিএ) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিকেল থেকেই অনুষ্ঠানস্থল আমন্ত্রিত অতিথি, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং কুরআন তেলাওয়াত পরবর্তী ভাইস প্রিন্সিপাল বাতুল হুসেইনের সঞ্চালনায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। রহস্যময় দ্বীপের আদলে স্বজ্জিত মিলনায়তনে রঙিন কস্টিউম পরিহিত শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত নাচ, গান এবং নাটিকার মাধ্যমে হল ভর্তি দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে। শিশুদের উল্লেখযোগ্য পরিবেশনাসমূহ ছিলো হাওয়াইন পার্টি, ফুলপরী ও গরীব কাঠুড়ের লোককথা, স্বপ্নীল বর্ণমালা ও পিনোকিও অভিযানের রুপকথা এবং হবুচঁন্দ্র রাজার গীতিনাট্য ইত্যাদি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুফী মিজানুর রহমান, বিগত ২০ বছর যাবত কোমলমতি শিশুদের সুষ্ঠু মানসিকতার পরিপূর্ণ বিকাশে এমন স্বনামধন্য স্কুল সুদক্ষ হাতে পরিচালনা করার জন্য মিসেস জোহাইর কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সমাপনী বক্তব্যে অধ্যক্ষ হাওড়া (তেহেসীন) জোহাইর বলেন, সমন্বিত শিক্ষা সকলের অধিকার। তিনি বিগত এক যুগের ও বেশী সময় ধরে স্বাভাবিক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চাদের একই শ্রেণিতে পাঠদানের প্রয়োজনীয়তায় অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার (ইনক্লুসিভ এডুকেশন) ব্যবস্থা করেছেন।
এ লক্ষ্যে অটিজম, ডাউন সিনড্রোম ও এ.ডি.এইচ.ডি. এর মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষিকাদের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় বিশেষ সহায়তাসমূহ প্রদান করেন যা তাদের জীবনের ক্রমবিকাশ এবং সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চাদের ভর্তি সুবিধা প্রদানসহ এদের সুপ্ত বিকাশ ও উন্নয়নে প্রতিটা স্কুল যেন একই কাতারে কাজ করে এই আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












