ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সঠিক কম্পিউটার নির্বাচন

| বুধবার , ২২ মে, ২০২৪ at ২:০৪ অপরাহ্ণ

ফ্রিল্যান্সিং আজকের দিনে অনেকের জন্যই একটি আকর্ষণীয় পেশা হয়ে উঠেছে। নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ। বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন এবং নিজস্থানে থেকে আয় করা ফ্রিল্যান্সিংকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে যুবকের ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সাফল্য অর্জনের জন্য শুধু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি উপযুক্ত কম্পিউটারের। কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে কম্পিউটার নির্বাচন করতে হবে। সকল কাজের জন্য একই কনফিগারেশনের কম্পিউটার বা ডেস্কটপ পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা যায় না। কাজের ধরণ অনুযায়ী কম্পিউটার বা ডেস্কটপ পিসি বা ল্যাপটপ এর বিভিন্ন স্পেসিফিকেশন থাকা প্রয়োজন।

যদিও বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কাস্টম ডেস্কটপ পিসি ব্যাপক জনপ্রিয় কারণ এখানে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পিসি পার্টস দিয়ে পিসি বিল্ড করে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরণ পরিবর্তন হলে প্রয়োজনে পিসির স্পেসিফিকেশনও পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সঠিক কম্পিউটার ও ডেস্কটপ পিসি তৈরি করতে যেসকল ফিচার বা স্পেসিফিকেশনের দিকের বিশেষ নজর দিতে হবে তা হচ্ছেঃ

প্রসেসর : প্রসেসর হলো ডেস্কটপ পিসি বা কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রসেসর থাকা অপরিহার্য, বিশেষ করে যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, বা প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাজ করেন তাহলে Intel Core i5 বা AMD Ryzen 5 এর মতো প্রসেসর থাকা অবশ্যকীয়।

RAM : RAM হলো কম্পিউটারের মেমরি। কম্পিউটারে যত বেশি RAM থাকবে, তত বেশি অ্যাপ্লিকেশন একই সাথে চালানো যাবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য মোটামুটি 8GB RAM কে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে আরও ভালো পাফ্যরম্যান্স এর জন্য 16GB RAM এর প্রয়োজন হবে।

স্টোরেজ : আপনার কতটা স্টোরেজ প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনার কাজের ধরণের উপর। যদি আপনি অনেক ফাইল, ছবি, বা ভিডিও সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পরে, তাহলে আপনার একটি বড় SSD বা HDD প্রয়োজন হবে। 512GB বা 1TB SSD স্টোরেজ থাকলে একসাথে অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।

মনিটর : ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য একটি ভালো মানের মনিটর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার প্রয়োজন পরে তাহলে Full HD রেজোলিউশন 15.6-ইঞ্চি বা তার চেয়েও বড় একটি মনিটর ব্যবহার করা ভালো। এতে কাজের আউটপুট ভালো আসবে পাশাপাশি চোখের উপরে ক্ষতির প্রভাব কম পরবে।

বিদ্যুৎ ব্যাকআপ : বাংলাদেশে লোডশেডিং একটি অতি সাধারণ ব্যাপার। গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আগে বিদ্যুৎ ব্যাকআপ নিশ্চিত করে নিতে হবে। অন্যথায় কাজ সঠিক সময়ে শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে। বিদ্যুতের ব্যাকআপ এর জন্য ইউপিএস কিংবা আইপিএস ব্যবহার ভালো। যদি সমস্যা বেশি মনে হয় তাহলে একটি ভালো ব্যাটারি লাইফ সহ ল্যাপটপ কিনুন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ৪৬ ঘন্টার বেশি ব্যাটারি সাপোর্ট দিতে পারে।

অপারেটিং সিস্টেম : ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য Windows, macOS, বা Linux যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সেটা সেটআপ দিয়ে নিতে পারবেন। এখানে ২টা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে macOS অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র অ্যাপলের ল্যাপটপ বা পিসিতে ব্যবহার করা যায়, অন্যটা হচ্ছে অন্যান্য সকল ডিভাইসে প্রোগ্রামিং এর কাজ করতে হলে Linux অপারেটিং সিস্টেম ভালো।

উপরোক্ত বিষয় লক্ষ্য রেখে ডিভাইস ক্রয় করলে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য একটি ভালো মানের ডিভাইস নির্বাচন করা সহজ হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে যারা নতুন কিংবা প্রথম ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কেমন ডিভাইস নির্বাচন করবে? তাদের জন্য আমাদের এই প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রবন্ধটি সহায়ক হবে বলে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইপিজেডে ঢেউটিন ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পষ্টে যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ২২ ভ‌রি স্বর্ণালংকার নিয়ে ‌বিদেশ পালানোর সময় পু‌লিশের হাতে ধরা